ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,সাতক্ষীরার কলারোয়া শ্রীপতিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিতার দান করা প্রায় ৩ শতক জমি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি পন্থী শেখ জুলফিকার আলি দখল করে দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। স্কুল কর্র্তৃপক্ষ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে আজও পর্যন্ত দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে পারেনি। জমি দখলকৃত জুলফিকার একই স্কুলের জমিদাতা শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত রাশেদ আলী শেখের ছেলে। সরজমিনে কলারোয়া পৌর সদরের পাশে শ্রীপতিপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৫৮ সালে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সমন্বিত উদ্দ্যেগে ৩৬শতক জমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে স্কুলটি সরকার জাতীয়করণ করে এবং ২০০২ সালে নতুন দ্বিতল ভবন তৈরী করে শিক্ষার্থীদের আরো পড়া লেখার বেশি সুবিধা করে দেয়। বর্তমানে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে বলে জানাগেছে। স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রায় এক বছর আগে স্কুল প্রতিষ্ঠকালীন জমিদাতা মৃত রাশেদ আলী শেখের ছেলে জুলফিকার আলী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের ৩৬ শতক জমির মধ্য থেকে মেইন রাস্তা সংলগ্ন প্রায় ৩শতক জমিতে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আকস্মিক পাকা ঘর নির্মান শুরু করে। তারা বলেন, এ সময় স্কুল পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী পাকাঘর নির্মানে বাধা দিলে নির্মান কাজ কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে সুচতুর জুলফিকার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আবারো জোর পূর্বক পুনরায় দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করে এবং সেখানে পাকাঘর তৈরী করে বসতবাড়ী হিসেবে তার নির্মানকৃত ঘর ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা পাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সরকারের আইন অমান্য করে স্কুলের দানকৃত জমি অবৈধ্য দখল করে জুলফিকার আলী আর্থিকভাবে লাভ বান হচ্ছেন। তারা আরো জানান, অতি দ্রুত তাকে উচ্ছেদ করে স্কুলের জমি উদ্ধার করা না হলে সে আরো জমি দখল করার চেষ্টা করছে বলে জানান। এব্যাপারে শ্রীপতিপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরউল্লাহ জানান, আমি এই স্কুলে নতুন যোগদান করেছি। তবে স্কুলের জমি দখলের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তিনি বলেন স্কুলের পরিচালনা কমিটির সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী আছাদুজ্জামান শাহাজাদা জানান, তিনি নিজ হাতে লিখিত কাগজ দিয়ে বলেন শ্রীপতিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলের ঘটনার সময়ে একাধিকবার আমিন দিয়ে জমি মাপা হয়। তিনি আরও বলেন, পৌর সদরের পাশে শ্রীপতিপুর মৌজায় ১৪০ নং খতিয়ানে স্কুলের ৩৬ শতক জমি থাকালেও এর মধ্য থেকে রাস্তা সংলগ্ন ৩ শতাংশ জমি স্থানীয় বিএনপি পন্থী প্রভাবশালী জুলফিকার আলী পাকা বসতবাড়ি নির্মান করেছে। সরকারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কিছু কর্মকর্তার যোগসাজগের কারনে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, স্থানীয় নায়েবকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে স্কুলের জমি ভোগ দখল করছেন। সভাপতি বলেন, আমি নিজে ও স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েকবার স্কুলে জমি মাপার পর স্কুলের সীমানা নির্ধারন করে খুটি বসানো হয় কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি স্কুলের সীমানা পিলার জোরপূর্বক তুলে দিয়েছে। তিনি এ বিষয়ে উর্র্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে বিষয়টি তিনি তদন্ত করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
Check Also
আশাশুনিতে পুশ বিরোধী অভিযান।।২০০ কেজি চিংড়ী জব্দ ও আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট
এস, এম মোস্তাফিজুর রহমান (আশাশুনি) সাতক্ষীরা।।আশাশুনতে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রবিবার (২১শে এপ্রিল) …