নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেনি পেশার লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০০থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
কেউ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে জামাত শিবির বানিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হচ্ছে । ফলে বাধ্য হয়ে গুনতে হচ্ছে চাঁদার টাকা।
কুখরালী আমতলার মুদি ব্যাবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, গত সোমবার রাতে আমার দোকানে কিছু যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে আমার কাছে একটি দাওয়াত পত্রদিয়ে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আমি তাদেরকে বলি আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আমি ১শত টাকা দিতে পারবো, তারা পরের দিন এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়।
কুখরালী আমতলার গ্রাম্য ডাক্তার কবিরুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাতে আমার চেম্বারে কিছু যুবলীগ নেতা এসে বলেন ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোকদিবসের দিন খিচুরী রান্না ও দোয়া মাহফিল এর জন্য আমাকে ৫ কেজি মাংস কেনার টাকা দিতে হবে ।
ইলেকাট্রিক মিস্ত্রি আব্দুল মান্নান বলেন আমার কাছে ১০ কেজি মাংসের টাকা দাবি করে কিন্তু আমি ১০০ টাকা দিতে রাজি হয়। চাঁ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান আমার কাছে ১ শত টাকা দাবি করলে আমি আমি ৫০ টাকা দিতে রাজি হয় । বিশেষ সুত্রে যানা যায় চাঁদা নেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ শাহিনুর রহমান বিপ্লব,সাধারন সম্পাদক হাসিব সরকার, ইউসুফ, সালাম, জলিল, আকাশ, রিপন, নাম না জানা আরও অনেকে।
বুধবার দুপুরে মুঠোফোনে এ বিষয়ে পৈার ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হাসিব সরকারের কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা প্রতিটি দোকানে দাওয়াত কার্ড দিয়েছি কোনো প্রকার চাঁদার টাকা নেয়া হয়নি।
উল্লেক্ষ্য গত ৫ আগষ্ট শনিবার নগর ভবনের সামনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নাগরিক শোক র্যালি উদ্বোধনের আগে শোক সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন বঙ্গবন্ধুর নামে শোক দিবসে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। কোনো প্রকার অপকর্ম চলবে না। চাঁদাবাজির মতো খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন ।