বি.এইচ.মাহিনী : গত আ’লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন যশোর ৬ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভৈরব উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সিংগাড়ী গ্রামে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হয় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল। এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি ছিল এটি। ইতিপূর্বে এ এলাকায় নব জাতক শিশু ও প্রসূতি মায়ের জরুরী চিকিৎসার জন্য ছিল না কোনো হাসপাতাল। নির্মান কাজ শুরুর পর থেকে এলাকাবাসীর মনে আশার সঞ্চার হয়। কিন্ত না, ২০১৪ সালে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মান শেষ হলেও আজও চালু হয়নি চিকিৎসা সেবা। সাড়ে তিন বছরেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা শুরু না হওয়ায় হতাশ ভৈরব উত্তর জনপদের খেটে খাওয়া মানুষ। স্থানীয় জনসাধারণ ও সচেতন মহল মনে করছেন বর্তমান এমপি মহোদয় সুদৃষ্টি দিলেই চালু হবে চিকিৎসা সেবা। সে প্রত্যাশায় দিন গুনছেন সাধারণ মানুষ। সরজমিনে সিংগাড়ীতে নির্মিত এ ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে ভবনগুলো। ফলে মাঝে মাঝে চরছে ছাগল-গরু। নেই মানুষের দেখা। ফলে হাসপাতাল থাকা না থাকা উভয়ই সমান। তাই ভৈরব উত্তরের বাঘুটিয়া, শ্রীধরপুর, শুভরাড়া, সিদ্দিপাশা ও বিছালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে হাসপাতালটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছে আঞ্চলিক পাবলিক লাইব্রেরি-সিংগাড়ী, পাইকপাড়া আলোর দিশারী ক্লাব, সিংগাড়ী বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট, ভৈরব-চিত্রা যুব সোসাইটি, সিংগাড়ী সংস্কৃতি কেন্দ্র, খানজাহান আলী গণগ্রন্থাগারসহ এত্র অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষ, সচেতন মহল, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হাসপাতালটি অতিসত্ত্বর চালুর দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চলের অসুস্থ্য মানুষের চিকিৎসার সেবার জন্য যেতে হয় নওয়াপাড়ার অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যেখানে পৌঁছানো অনেকটা কষ্ট সাধ্য। কেননা, উক্ত হাসপাতালে যেতে সবচেয়ে বড় সে বাঁধা সেটা হলো ভৈরব নদ। একজন প্রসূতি মা অথবা মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অনেক সময় পথিমধ্যেই মারা যায়। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেকটা অনুন্নত। ফলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই এ অঞ্চলের মানুষের। সকলের দাবি নির্মিত এ হাসপাতালটি যেন দ্রুত সরকারি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সেবার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।