ভালুকায় বোমা বিস্ফোরনে নিহত ব্যক্তি নাটোরের আলম

নাটোর সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ভালুকায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত জঙ্গী নাটোর সদর উপজেলার চক আমহাটি গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে আলম প্রামানিক। তার পিতা নাটোরের একটি সরকারি কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। নাটোর সদর থানার ওসি শিকাদার মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আলমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত জঙ্গী আলম প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস আগে তার পিতা আবুল কালামের কাছে এক লাখ টাকা চায়। তার পিতা টাকা না দেওয়ায় আলম তার স্ত্রী পারভিন এবং দুই ছেলে ইয়াছিন (৯) ও ইসমাইল (৬) কে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। চলতি বছরের ৭ এপ্রিল বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় বাড়িতে বলে যায় সে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গাড়ী চালকের চাকরী করে। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর একবার শশুড় বাড়িতে কথা বললেও এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। পাশাপাশি আলম তার অবস্থানের কথাও নিশ্চিত করেনি। রবিবার দুপুরে ভালুকায় বোমা বিস্ফোরনে একজন নিহত, মহিলা ও দুই শিশু ছেলে আহত হওয়ার খবর পত্রিকা ও টিভিতে আসলে এলাকার মানুষ ছবি দেখে নিশ্চিত হয় নিহত ব্যক্তিই নাটোরের চক আমহাটির আলম প্রামানিক। এ বিষয়ে তার পরিবারের ঘনিষ্ট কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই। তবে সকাল থেকে তার বাড়ি ও এলাকার মানুষের মুখে মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আরো জানায়, আলম বিভিন্ন সময়ে রাজমিস্ত্রী, মোটর সাইকেল মেকানিক ও ট্রাক ড্রাইভারের কাজ করেছেন। সর্বশেষ বেসরকারী একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভারের চাকরীর কথা বলে বাড়ি থেকে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে। ছেলের কোন খবর না পাওয়ায় গত ৬ জুলাই নাটোর থানায় জিডি করেন আবুল কালাম আজাদ। আলম পিতা মাতার ৫ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আলম সম্প্রতি কুষ্টিয়া অভিযানের সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে আলমের প্রতিবেশী তেলকূপি গ্রামের সুমাইয়া ওরফে মাহমুদা সহ দুই নারী জঙ্গী আটক হয়। নাটোর সদর থানার ওসি শিকাদার মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভালুকা থানা থেকে বিষয়টি তাদের জানানোর পর ঘটনাটি তার পরিবারকেও অবগত করা হয়েছে।

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম
নাটোর সংবদদাতা

নাটোরে গণ মনস্তাত্ত্বিক রোগে ১০ ছাত্রী অসুস্থ

নাটোর সংবাদদাতা
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গণ মনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়ে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ ছাত্রীদের বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকাল নয়টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়। সেসময় ষষ্ঠ শ্রেণীর হাফসা খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী প্রথমে মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় ওই ছাত্রী বার বার মুর্ছা যায়। এরপরপরই একই শ্রেণীর উম্মে হাবিবা, নাবিলা খাতুন, সপ্তম শ্রেণীর যুথি খাতুন, সোনালী আখতার, রিয়া খাতুন, মাসুমা খাতুন, বন্যা খাতুন, নবম শ্রেণীর তৃষা খাতুন একই সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের দ্র”ত বাগাতিপাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেওয়া হয়। এদিকে সকাল ১০ টার দিকে পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা অষ্টম শ্রেণীর কেয়া খাতুন নামের অপর এক শিক্ষার্থী একই সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীরা সকালে সবাই না খেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ায় শারিরীকভাবে দূর্বল ছিল। সেখানে তারা গন মনস্থাত্ত্বিক রোগে (মাস সাইকোজেনিক ইলনেস) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

 

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।