এক গ্রামেই হত্যা করা হয় নারী শিশুসহ ৮১ রোহিঙ্গা!

সূত্র জানিয়েছে, গ্রামটির নাম ক্রান্তামা উজু। আয়তনের দিক দিয়ে অন্যান্য রোহিঙ্গা পল্লীর তুলনায় এটি অনেক ছোট। গ্রামের বাসিন্দাও সবেমিলে সর্বোচ্ছ শ’পাঁচেক এর বেশি না। ২৭ আগস্ট রাতে ঐ গ্রামে হামলা করে সামরিক ও নাডালা বাহিনী।

হামলাকারীরা রোহিঙ্গাদের ধাওয়া করলে দিক-বিদিক ছুটে পালায় তারা। এসময় অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে একটি স্কুল ঘরে তালাবদ্ধ করে বাহির থেকে আগুন ধরিয়ে দেয় হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। নারীদের সাথে তাদের সন্তান-সন্ততিও ছিল। অনেককে পিছমোড়া হাত বেঁধে উপুর করে ব্রাশ ফায়ার করে। পরে রোহিঙ্গাদের বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম রোহিঙ্গারা ঐ রাতে গহীন অরণ্যে আশ্রয় নেয় পরে বাংলাদেশ চলে আসে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, গ্রামটির বেঁচে ফেরা মানুষগুলোর জবানবন্দী আর স্বজন হারাদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ৮১ জনের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তালিকায় নিহতদের নাম, পিতার নাম ও বয়স উল্লেখ করা হয়েছে। বার্মিজ ভাষায় লিখিত এতালিকায় দেখা গেছে নিহত ৮১ জনের মধ্যে ২২ জন শিশু, যাদের বয়স আটারো বছরের নিচে। তালিকায় দুধের শিশুও হত্যার শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে একজন বিশ্লেষক জানান, আরাকানে এরকম নৃশংস ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু সেখানে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার না থাকায় সেসব প্রকাশ পায়নি। যেসব প্রকাশ পেয়েছে তা সংঘটিত ঘটনার কিঞ্চিৎ মাত্র। বিশ্লেষক আরো জানান, একটি ছোট গ্রামেই যদি ৮১ জন হত্যার শিকার হয়, তবে বড় বড় গ্রামগুলোতে কত রোহিঙ্গা হত্যার শিকার হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে বার্মাকে বারংবার হুঁশিয়ারী দিলেও, তারা ভয় পাননা বলে জনসমক্ষে জানান সুচি। টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে সেনা অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও বলেন তিনি।

বর্মী প্রশাসনের ত্রাণোপহাস!

বুথিদং-এর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বর্মী প্রশাসনের সরকারি প্রতিনিধিরা গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদেরকে ধান, চাল, আলু প্রভৃতি দিতে বাধ্য করে। পরে একটি স্কুলে ডেকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তা রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করে। এসময় প্রশাসনের কর্মীরা ভিডিও ধারণ করে এবং ছবি তোলে।

উদ্দেশ্য : আরাকানে রোহিঙ্গাদের মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে বলে বিশ্ব সম্প্রদায় ও গণমাধ্যমকে দেখানোর ব্যবস্থা!

সীমান্তে রোহিঙ্গা গ্রামে মিয়ানমার বাহিনীর আগুন, গুলী

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের  রোহিঙ্গা মুসলিম গ্রামগুলোতে নতুন করে আগুন  দেয়ার খবর পাওয়া  গেছে। এছাড়া বাংলাদেশ এলাকা  থেকে  সেখানে  গোলাগুলির হওয়ার শব্দও শোনা যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তমব্রু সীমান্তের  ডেকুবুনিয়া উত্তর পাড়ায় একটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ভীত-সন্ত্রস্ত্র অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তের পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগুনের লেলিহান শিখা সীমান্তের এপার থেকেও দেখা যাচ্ছে।

তবে এ রিপোর্ট

Please follow and like us:

Check Also

কলারোয়া  উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেমের ইন্তেকালঃ বঙ্গবন্ধু বিশেষ সুপারিশে  যিনি কারা মুক্ত হন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।