ছবি কথা বলে

উপরের ছবিটি হাইতি ভূমিকম্পের। ২০১০ সালে হাইতিতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, এই ভূমিকম্পে লক্ষ্য মৃত মানুষের সাথে দশ লক্ষ্যের মত মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছিল। প্রমাণ হিসাবে দেখুন এখান-  , 

বার্মার ছবি বলে যেসব ছবি চালানো হচ্ছে, তার অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা নয় শ্রীলংকার গৃহ যুদ্ধের। ছবিটি নাজেরিয়ার সাইকোলনের। উপরের ছবিটি ২০০৮ সালে নাইজেরিয়ায় মারাত্মক সাইকোলন হয়, যার ফলে পঞ্চাশ হাজারের মত মানুষ নিখোঁজ হয়। প্রমাণ দেখুন এখানে- 

ছবিটি ছিল চকলেট চুরির অপরাধে এক শিশুর উপর নির্যাতনের ঘটনা। কিন্তু মূল বিষয়টি উপস্থান করা হয়েছে ভিন্নভাবে, যাতে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা যায়।

উপরের ছবিটি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর। অথচ হাস্যকর বিষয় হল, একজন ভিক্ষুর ছবি । ছবিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

২০০৮ সালে ৪০০ শতের মত রোহিঙ্গা থাই সীমান্তে ঢুকে পড়ে। যাদের সবাইকে নেভি গ্রেপ্তার করে, এবং আবার খাদ্য এবং পানি সহায়তা দিয়ে নদীতে ছেড়ে দেয়। এই ছবিটিও মায়ানমারের রোহিঙ্গা হত্যার দৃশ্যপট নয়।

উপরের ছবিটি ভিয়েতানামের। যা “My Lai Massacre”. নামে পরিচিত।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বহুল আলোচিত এই ছবিটি তিব্বতের আন্দোলনের ছবি। যেখানে দেখা যায় একজন আন্দোলন কর্মী নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তিব্বতের এই ছবিটি নিয়ে, বিবিসিগার্ডিয়ান সব বড় পত্রিকায় নিউজ পাওয়া যায়।

এটিও ২০১০ সালের চীনের ভূমিকম্পের ছবি। যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের রীতি অনুস্বারে অসংখ্য মৃতদেহে একসাথে আগুন দেওয়া হয়।

২০০৩ সালের থাইল্যান্ডের উপরের ছবিটিকে কেন্দ্র করে হেফাজত ইসলামের দাবী মায়ানমারের পুলিশের হাতে অসংখ্য রোহিঙ্গা বন্ধী।

উপরের ছবিটি ২০১০ সালের। কঙ্গোতে একটি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে প্রায় ২৩০ জন মারা যায়, এবং ১৯৬ জন আহত হয়।

একজন শিশু বৌদ্ধ শ্রামণ খেলনার অস্ত্র নিয়ে খেলছে।

সিরিয়ার ইসলাম বনাম ইসলাম যুদ্ধে প্রচুর মানুষ এবং শিশু মারা যাচ্ছে। এই ছবিটি সিরিয়ার, যা হেফাজতের ইসলামের পেইজ থেকে শেয়ার দিয়ে বলা হয়েছে মায়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষুর হাতে মুসলিম শিশু খুন।

উপরের সব কয়টি ছবি শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধের।

নিচের এই ছবিগুলি একসাথে প্রমাণসহ বাস্তবতা তুলে ধরা হল-


 

Please follow and like us:

Check Also

বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যু গ্রেফতার

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণে যুক্ত ৮ জলদস্যুকে আটক করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। রোববার জাহাজটিকে মুক্তি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।