ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নের হুবহু মিল

ক্রাইমবার্তা রিপোট:  ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বাচনী ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা খানেক আগেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নের সাথে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
বাংলা প্রথম পত্রের ‘খ’ সেটের এই প্রশ্নটি ফেসবুকে পাওয়া যায় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। প্রশ্নটি এরপর থেকে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়াতে থাকে।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে বলেছিলেন, ‘আপনারা তো জানেন, ২০ লাখ ছেলে-মেয়ের আবারও পরীক্ষা নেওয়া কী হয়রানি! প্রশ্নফাঁস যদি পরেও প্রমাণ হয়, তাহলেও পরীক্ষা বাতিল করে দেবো। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষা আমরা গ্রহণ করবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস রোধে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছি। সব কৌশল বলা ঠিক হবে না। যেগুলো বলা যায়, সেগুলো আগেও বলেছি। রিপিট করার প্রয়োজন নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা আছে। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
সকালে ৮টা ৫০ মিনিটে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পাওয়া প্রশ্নের বিষয়ে সকাল ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীকে সাংবাদিকরা জানানোর পর শিক্ষামন্ত্রী ওই প্রশ্নের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নের মিল আছে কি-না, তা মিলিয়ে দেখেছেন বলে দাবি করেন। সাংবাদিকদেরকে দেওয়া দ্বিতীয়বারের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ছড়ানো প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল নেই। আমি মিলিয়ে দেখেছি। বিষয়টি মিথ্যা ও গুজব। তবে যে ব্যক্তি এই প্রশ্নটি পোস্ট করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।’
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট উপসচিব আবু আলী মো.সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডকে জানানো হবে। আমাদের কাছে প্রশ্নপত্র নেই। প্রশ্নপত্র এনে তা মিলিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোয়েন্দা পুলিশকে ফেসবুকের লিংক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।’
প্রশ্নফাঁস ও অনুষ্ঠিত পরীক্ষার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মোফাদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমরা এ বিষয়টি দেখে, বুঝে ব্যবস্থা নেবো।’
রাইসা ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘যদি সত্যিই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, তাহলে হয়তো পরীক্ষা বাতিল হবে। এতে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হবে তা কিভাবে পোষাবে সরকার? এত কিছুর পরও তো প্রশ্নফাঁস আটকাতে পারেনি। আমরা এ জন্য চরম ঘৃনা প্রকাশ করছি।’

Please follow and like us:

Check Also

আবুল কাশেম কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি,তাই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করতেন: সাতক্ষীরায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।