প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন: মির্জা ফখরুল

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:  ঢাকা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিন, এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। তাহলেই এদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চলমান গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচন তখনই হবে, যখন এদেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন তখনই হবে, যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আসবেন। নির্বাচন তখনই হবে, যখন একটা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি হবে। আমাকে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কোনও কিছুই করতে দেবেন না। হাত-পা বেঁধে বলবেন, ‘সাঁতার দাও’, সেটা তো হবে না। সুতরাং শুভ বুদ্ধির উদয় হোক আপনাদের। আপনারা অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন, যেন তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। তিনি নিজে যেভাবে চাইবেন সেভাবে চিকিৎসা হবে। অন্যদিকে একটা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করুন।’
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমরা তার মুক্তি চেয়েছি। এ মুক্তি তার প্রাপ্য। এ মামলায় যেকোনো মানুষই জামিন পেতে পারে। কিন্তু সরকার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য হিংসাত্মকভাবে তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার মনে করে খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থার স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। আইয়ুব খান ও এরশাদেরও এ স্বপ্ন সফল হয়নি। একাত্তরের পর মাত্র তিন বছরেই এই আওয়ামী লীগ সবচেয়ে অজনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছিল। তাদের দুঃশাসন ও অত্যাচার এবং একদলীয় শাসনের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাদের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা গেছে।
এসময় নড়াইল বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজপথে সভা-সমাবেশ করার অধিকার নেই, তাই জেলা সভাপতির বাসভবনে দলের সভা চলার সময়ে পুলিশ কবির মুরাদসহ ৫৮ জনকে আটক করে। আমি এ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা দেশে চলছে অবাধ লুটতরাজ। চুরি, খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ। কিন্তু পুলিশ কিছুই করছে না। করবে কী করে? পুলিশকে বিরোধীদলকে দমন রাখতেই ব্যস্ত রাখা হয়েছে।
যুব সংহতির সভাপতি মহসিন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়াদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, নবাব আলী আব্বাস, সেলিম মাস্টার, যুগ্ম-মহাসচিব এএসএম শামীম এবং মরহুম কাজী জাফর আহমেদের মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ।

Please follow and like us:

Check Also

নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

চট্টগ্রামে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।