যশোর কবলে রিজেন্ট উড়োজাহাজ, আতঙ্কিত যাত্রীদের চিকিৎসা

যশোর প্রতিনিধি: বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ঢাকা-যশোর রুটের একটি উড়োজাহাজ বুধবার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে। বাতাসের ঝাপটায় প্রবলভাবে ঝাকুনি খাওয়ায় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের কয়েকজনকে চিকিৎসাও দেওয়া লাগে। এদের মধ্যে এক নারী যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে।
প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উড়োজাহাজটি নিরাপদে যশোর এয়ারপোর্টে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।  ৩০ জন যাত্রী অপেক্ষমাণ রয়েছেন যশোর এয়ারপোর্টে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাত্রী নিয়ে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ৭৬৩ উড়োজাহাজটি বুধবার সন্ধে ছয়টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় রাত নয়টা ৫০ মিনিটে সেটি যশোরের উদ্দেশে ওড়ে।
যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আলমগীর পাঠান জানান, ঢাকা-যশোর এয়াররুটের মাঝামাঝি স্থানে এসে রিজেন্টের ওই উড়োজাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে দুলুনি ছাড়াও প্রচন্ড ঝাকুনি খায় উড়োজাহাজটি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মাঝে। তা সত্ত্বেও উড়োজাহাজটি নিরাপদে যশোর এয়ারপোর্টে নামতে সক্ষম হয়। কিন্তু আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ সময় ঘোষণা দেয়, কোনো যাত্রীকে চিকিৎসালয়ে নিতে হলে তাদের অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। কিন্তু সিভিল এভিয়েশনের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিতে চাননি যাত্রীদের কেউ। নিজস্ব গাড়িতেই হাসপাতালে যাবেন বলে তারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের যশোর অফিসের কর্মী শোভন সাংবাদিকদের জানান, আতঙ্কগ্রস্ত বেশ কয়েক যাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া লাগে। তবে তাদের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি।
এদিকে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ওই উজোড়াহাজের এক যাত্রী সেখানে ভর্তি হয়েছেন। রিনা খাতুন (৪০) নামে ওই যাত্রীর বাড়ি যশোর শহরের নড়াইল রোডে।
তার প্রতিবেশী আবিদা সুলতানা জানান, ঝড়ের কবলে পড়া উড়োজাহাজে প্রচন্ড ঝাকুনির কারণে রিনা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই কারণে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ বলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ায় রিনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, রিজেন্ট কর্মী শোভন রাত সাড়ে ১২টার দিকে জানান, তাদের উড়োজাহাজটি এখনো যশোর থেকে ঢাকা ফিরতে পারেনি। ফিরতি ফ্লাইটে ৩০ জন যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন। তারা সবাই এখনো যশোর এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এলে উড়োজাহাজটি যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা রওনা দেবে।
প্রসঙ্গত, আরেক বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার সময় বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় অর্ধশত জীবন যায়।#

 

Check Also

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।