রোজার শুরুতেই সীমাহীন ভোগান্তি

ক্রাইমবার্তা রিপোট:  রোজার শুরুতেই সীমাহীন ভোগান্তি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, খাদ্যে ভেজাল, গ্যাস ও পানি সংকট, তীব্র যানজট এবং লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। সবকিছুই যেন নিয়ন্ত্রণহীন। সরকারের নানা উদ্যোগ ও সতর্কবাণীর পরও রমজানকেন্দ্রিক কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে, কিন্তু দাম চড়া। শুধু তা-ই নয়, রোজাভিত্তিক বিভিন্ন নিত্যপণ্য কৃষক পর্যায়ে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে প্রায় তিনগুণ দামে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাব এবং অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আর এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা তাদের। জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান শনিবার  বলেন, সরকারকে বাজার মনিটরিং সমন্বিতভাবে করতে হবে। এক্ষেত্রে যাতে কেউ অযৌক্তিক দাম নিতে না পারে। পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে। তার মতে, যানজট ও বৃষ্টির কারণে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বেশকিছু এলাকায় গ্যাস সংকটে সেহরি ও ইফতারি তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সেহরি ও ইফতারে বিদ্যুতের চাহিদা মাথায় রেখে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা থাকলেও লোডশেডিং চলছে। রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় চলছে পানি সংকট। এদিকে রাজধানীজুড়ে উন্নয়নের নামে সড়কে যে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, এতে দুর্ভোগ ও যানজট বাড়ছে অনেক এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কিন্তু রোজা শুরুর আগ থেকেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে পকেট কাটছে ক্রেতাদের। সরকার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস দেয়া হলেও রমজানে পণ্যের মূল্যের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেহরি ও ইফতারির অনেক পণ্যই সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে বাধ্য হয়েই স্বল্প আয়ের অনেককেই প্রয়োজনীয় তালিকা থেকে বেশকিছু পণ্য কাটছাঁট করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে রমজান ও ঈদকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভেজাল চক্রের সদস্যরা। ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। পুলিশ-র‌্যাবসহ একাধিক সংস্থা ষোষণা দিয়ে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলেও থেমে নেই ভেজাল খাবার ও মৌসুমি ফল কেনাবেচা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পণ্য খেয়ে ভোক্তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের বাজার : সরকারের নানা উদ্যোগ ও সতর্কবাণী সত্ত্বেও দাম বাড়ছে রমজানের চাহিদাসম্পন্ন কয়েকটি পণ্যের। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৮০ টাকা। পণ্যগুলো হচ্ছে- বেগুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুঁদিনা পাতা এবং শসা। বাজার ও মান ভেদে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় বাজারে এসে হতবাক হয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। কেন এই মূল্য বৃদ্ধি? তার কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। ব্যবসায়ীদের সেই পুরোনো অজুহাত- সরবরাহ কম।

সরেজমিন দেখা গেছে, শনিবার ঢাকার খুচরা বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। শুক্রবার এই বেগুনই বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা। এ হিসাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেড়েছে ২০ টাকা। কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও বাড়াতে হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা। কারওয়ান বাজারের পাইকারি মরিচ বিক্রেতা শফিকুর রহমান বলেন, পাইকারি বাজারে কেজিতে বেড়েছে মাত্র ২ টাকা। তার মতে, খুচরা ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়াচ্ছে। ৬০ টাকার ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। একই অবস্থা পুঁদিনা পাতার ক্ষেত্রেও। শুক্রবার এটি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১২০-১৫০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে তা ৮০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ী বাবু ও বাচ্চুসহ অনেকেই জানান, সরবরাহ কম। অর্থাৎ রাজশাহী অঞ্চল থেকে শুক্রবার ৫০ কেজির ৫০০ খাচি পুঁদিনা পাতা এসেছিল। কিন্তু শনিবার আসে তার অর্ধেক। তাই শুক্রবার পাইকারি প্রতি কেজি পুঁদিনা পাতা ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার বিক্রি হয় ১৫০ টাকা কেজি দরে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। শুক্রবার এর দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে মান ভেদে কেজিতে ১০-২০ টাকা। শেওড়াপাড়া বাজারের ক্রেতা আশরাফ উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছি। মনে হচ্ছে দেশটা মগের মুল্লুক।

খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্য সরবরাহ কম বলে দাবি করলেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রমজাননির্ভর বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ ও মজুদ পর্যাপ্ত আছে।

ভেজালে সয়লাব বাজার : মৌসুমের শুরুতেই বেশি দামের লোভে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হচ্ছে বিভিন্ন ফল। অপরিপক্ব আম পাকাতে ব্যবহার হচ্ছে ক্যালসিয়াম কারবাইড ও ইথানল। কেমিক্যাল দেয়ায় আমের ওপরের অংশ পাকা দেখা যায়। অথচ ভেতরে কাঁচা। এগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব আম খেলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে এক হাজার মণ আম ধ্বংস করেছে। খেজুরেও দেয়া হচ্ছে ফরমালিন। যাত্রাবাড়ীর অভিযানে ৪০ মণ ভেজাল খেজুর জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নকল করা হচ্ছে নামি ব্র্যান্ডের ভোজ্য তেল। ফিল্টারের নাম করে ওয়াসার পানি সরবরাহ করছে বিভিন্ন কোম্পানি। রাজধানীর অলিগলিতে গড়ে উঠেছে ভুয়া ফিল্টার পানির কারখানা। বাহারি ইফতার তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক রং ও কেমিক্যাল। এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাব ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। জেল-জরিমানা করেও ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে অভিযানের ক্ষেত্রে ভেজাল খাদ্যকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ভেজাল খাবারের কারখানা চিহ্নিত করে অভিযান অব্যাহত আছে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম যুগান্তরকে বলেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল খাদ্য বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। খাবারে মেশানো হচ্ছে নানা ধরনের রং ও কেমিক্যাল। এ কারণে রমজানে খাবারের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সম্প্রতি অনুমোদন ছাড়া তেল বাজারজাত ও বিএসটিআইয়ের ভুয়া সিল ব্যবহার করার অপরাধে পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট এলাকার ‘সুইট রাধুনী’ নামের এই তেলের ব্র্যান্ডের মালিক ইসহাক হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বোতলের মড়কে লেখা ‘১০০% সুপার রিফাইন্ড’, ‘ফোর্টিফাইড সয়াবিন তেল’। সেখানে দেখা গেছে, মালিক একাই ব্যবসা চালান, প্যাকিং করেন ২ জন কর্মচারী। পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের কারখানা রয়েছে। এগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ফিল্টার পানির নাম করে অপরিশোধিত পানির বিভিন্ন কারখানা রাজধানীর অলিগলিতে গড়ে উঠেছে। এগুলো চিহ্নিত করে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। অনেক কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব সূত্র বলছে, পুরান ঢাকার চকবাজারসহ যেসব এলাকায় বাহারি ইফতারের আইটেম তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও রং ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হয়।

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে তীব্র যানজট : রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এখনও চলছে উন্নয়ন খোঁড়াখুঁড়ি। এ অবস্থায় আগাম বর্ষা এবং রমজান চলে আসায় যানজটের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে কর্মব্যস্ত মানুষ চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন যানজট নিরসনের প্রচেষ্টা চালিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পুরো রমজানই যানজট থাকবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকার সাতমসজিদ সড়কের দু’পাশ খুঁড়ে ফেলে রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সড়কের দু’পাশে গভীর ড্রেন নির্মাণকাজ চলছে। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সড়কটি খুবই সরু হয়ে গেছে। এ কারণে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শংকর পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একই চিত্র মতিঝিল, শাহবাগ, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা, মাণ্ডা, মোহাম্মদপুর বাঁশবাড়ী রোড, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সড়ক, মোহাম্মদপুর বছিলা রোড। প্রতিদিন খোঁড়াখুঁড়িতে সৃষ্ট যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে সড়কেই। মেট্রো রেলের নির্মাণকাজের কারণে মিরপুর কালশী থেকে চন্দ্রিমা উদ্যান পর্যন্ত সড়কে ভোগান্তির মাত্রা চরম সীমায় পৌঁছেছে। একদিকে সড়কটি সরু হয়ে গেছে, অন্যদিকে মেট্রো রেলের উন্নয়ন কাজের কারণে সড়ক ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। ফলে এ সড়কে চলাচলে ১০ মিনিটের দূরত্ব পাড়ি দিতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। আর ভোগান্তির অসহনীয় চিত্র লক্ষ করা গেছে কুড়িল-প্রগতি সরণি সড়কে। কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ এবং গভীর ড্রেন স্থাপনের কারণে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। সড়কের একাংশ খুঁড়ে পাইপ বসিয়ে সেটা ভরাট না করে ফেলে রাখা হয়েছে। এ কারণে সড়কের ওই অংশ দিয়ে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে পারে না। এতে সড়কটিতে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। এ সড়কে বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে সড়ক উন্নয়ন কাজের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে না।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, প্রগতি সরণি সড়কের ধীরগতির উন্নয়ন কাজের কারণে এ সড়কে তীব্র যানজট হচ্ছে। দুই মিনিটের পথ ২০ মিনিটেও পাড়ি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ভোগের বিষয়গুলো ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মেট্রো রেলের খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কালশী-চন্দ্রিমা উদ্যান পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট হচ্ছে। সড়কটি একদিকে সরু হয়ে গেছে, অন্যদিকে ইট, খোয়া, পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পরিবহন গতি কমে যাওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তি হচ্ছে নগরবাসীর। ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন যুগান্তরকে বলেন, রমজান ও বর্ষার কারণে রাজধানীতে যানজট বেড়েছে। নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে এখন নতুন করে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। যেসব উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, সেগুলোও অতি সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গনি যুগান্তরকে বলেন, ভোগান্তি নিরসনে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি, যানজট ও ভোগান্তি কমে আসবে।

Please follow and like us:

Check Also

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।