সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যান মোশাররফ খুনের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল গাইনসহ ৩৯ জনের নামে মামলা

———–0—————

সাতক্ষীরায় জাপানেতা ইউপি চেয়ারম্যান খুন: বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতা কর্মীসহ আটক ৫৫ জন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ নির্বাচনে পরাজিত করতে না পেরে কালিগঞ্জের ১নং কৃষ্ণনগর ইউপির বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মোশাররফ হোসেনকে (৫২) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারে অবস্থিত আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, কেএম মোশাররফ হোসেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ের সম্মুখে চেয়ারে বসেছিলেন। এসময় দু’টি মোটরসাইকেলে ৬ জন দৃর্বৃত্ত সেখানে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি চেয়ার থেকে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা ৫ রাউন্ড গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মোশাররফ হোসেনকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মহাসিন আলী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চায়নিজ কুড়াল জাতীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহৃ এবং মাথায় দু’টি গুলির চিহৃ রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। কেএম মোশাররফ হোসেন কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত ছৈলুদ্দীন কাগুচির ছেলে। কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতকদের চিহিৃত করে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন (৫২) স্থানীয় যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন। এ সময় ৫/৬ জন যুবক মোটরসাইকেলে এসেই বাজারে কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটায়।ওসি জানান, এতে আতঙ্কিত হয়ে দোকান পাট বন্ধ হবার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপরও তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) ইয়াসিন আলি জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। খুনিরা পেষাদার। হত্যার আলামত হিসাবে বেশ কয়েকটি গুলি সেখানে পাওয়া গেছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পরিবারের দাবী ,তার অপরাধ ছিল একটাই, তিনি একই ইউপিতে তিন বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। যারা তার সুনামকে সহ্য করতে পারে না তারাই তাকে হত্যা করেছে। তিনি এলাকায় গণমানুষের নেতা ছিলে
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কে এম মোশাররফ হোসেন মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতের ঘটনায় পুলিশ মাঠে নেমেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ধারের জন্য তিনটি মোটিভ নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি ডাকাত দলের সাথে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বিরোধ ছিল। চেয়ারম্যানের কারণে ওইসব ডাকাতরা এলাকায় উঠতে পারেনা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়া স্থানীয় একজন মেম্বরের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের। সম্প্রতি ওই মেম্বর মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তার বহিস্কার দাবী করেন । সূত্র আরো জানায়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ১৫০ বিঘা আয়তনের সাপখালী খালের দখল নিয়ে স্থানীয় নূর ইসলাম ও তার ছেলে আবু বক্করের সাথে বিরোধ ছিল তুঙ্গে। সরকারি ওই খাল দখলমুক্ত করতে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের শক্ত অবস্থান ছিল। এছাড়া আরো কয়েকটি মোটিভ নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে।

এদিতে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশুসহ অনেকে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই নৃশংস্যা হত্যার তীব্র নিন্দা ,প্রতিবাদ এবং খুনিদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতা কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পযর্ন্ত স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
উদ্ধার করা হয়েছে, ৪টি ককটেল, ৩টি পেট্রোল বোমা। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন,কলারোয়া থানা থেকে ১০ জন, তালা থানা ৭ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ৪ জন, আশাশুনি থানা ১১ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জন রয়েছে।

—————0—————

সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপির বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারাফকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

হাফিজুর রহমান শিমুল কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে: নির্বাচনে পরাজিত করতে না পেরে কালিগঞ্জের ১নং কৃষ্ণনগর ইউপির তিন তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মোশাররফ হোসেনকে (৫২) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারে অবস্থিত আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ে  এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, কেএম মোশাররফ হোসেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ কার্যাল

য়ের সম্মুখে চেয়ারে বসেছিলেন। এসময় দু’টি মোটরসাইকেলে ৬জন দুর্বৃত্ত সেখানে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি চেয়ার থেকে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা ৫ রাউন্ড গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মোশার

 

রফ হোসেনকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মহা

সিন আলী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চায়নিজ কুড়াল জাতীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহৃ এবং মাথায় দু’টি গুলির চিহৃ রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। কেএম মোশাররফ হোসেন কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত ছৈলুদ্দীন কাগুচির ছেলে। কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতকদের চিহিৃত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে  জানান, চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন (৫২) স্থানীয় যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন। এ সময় ৫/৬ জন যুবক মোটরসাইকেলে এসেই বাজারে কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটায়।

ওসি জানান, এতে আতঙ্কিত হয়ে দোকান পাট বন্ধ হবার সুযো

গে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপরও তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আ

হত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) ইয়াসিন আলি  জানান, চেয়ারম্যানের লাশ কালিগঞ্জ হাসপাতালে রয়েছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যার আলামত হিসাবে বেশ কয়েকটি গুলি সেখানে পাওয়া গেছে।

চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয়

পার্টির সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি জেলা জাপার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক হন। তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।হত্যার কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পরিবারের দাবী ,তার অপরাধ ছিল একটাই, তিনি একই ইউপিতে তিন বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। যারা তার সুনামকে সহ্য করতে পারে না তারাই তাকে হত্যা করেছে। তিনি এলাকায় গণমানুষের নেতা ছিলেন।

 

 

Please follow and like us:

Check Also

ঈদে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পারায় দিনমজুর স্বামীর আত্মহত্যা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পেরে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।