‘কোটা বাতিলে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে’

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ   প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ফলে যে উদ্ভূত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

এ সময় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর, ফারুক হোসেন, আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন আকাশ, মশিউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে হাসান আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব সরকারি চাকরিতে ৫ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কার না করে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণ ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করি, তাই আমরা সবসময় পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনই কোটার বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

‘এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। সেই সঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে,’ বলেন তিনি।

হাসান আল মামুন আরও বলেন, ছাত্রসমাজের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক যেসব মামলা করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

একই সঙ্গে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশের জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিল নিয়ে সরকারকে আরও ভাবতে বলেন। তবে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হলে অবশ্যই পাঁচ দফার আলোকে করতে হবে বলে জানানো হয়।

গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করেছিল সরকারি কমিটি, তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এর পর ওই দিন রাতেই ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।