ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ যশোর: যশোরে আবহাওয়া পরিবর্তনে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত কয়েক দিনে তিনগুণ রোগী ভর্তি হয়েছে। সীমিত বেডের বিপরীতে অধিক সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঠান্ডাজনিতসহ বিভিন্ন রোগে ১০ দিনে অন্তত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বহির্বিভাগে দু’শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। আর বিগত দশ দিনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২শ’ ৮৫ শিশুকে রোগী ভর্তি হয়েছে। শুধুমাত্র মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এখানে ২৪ শয্যার ওয়ার্ডে ৯০ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। সঙ্গে স্বজনদের উপস্থিতির কারণে মানুষে গিজগিজ করছে পুরো ওয়ার্ড। এখানেই চলছে শিশুদের চিকিৎসা। কেউ কেউ শয্যা পেলেও বেশিরভাগ শিশুকে মেঝেতে অবস্থান নিতে হয়েছে। বিগত দশ দিনে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যারা মারা গেছে তারা হচ্ছে, বাঘারপাড়া উপজেলার পৌর এলাকার লিটন হোসেনের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন (২), নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার সাবারহাটি গ্রামের সজিবের মেয়ে তন্নি (১ দিন), ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা গ্রামের জামিরুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা খাতুন (৩ ঘণ্টা), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের সেলিম হোসেনের মেয়ে যুথী (১ ঘণ্টা) ও যশোর উপশহরের ডি-ব্লকের নুরুজ্জামানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন (২ মাস)।
নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদহ গ্রামের ইজাজ নামে এক ব্যক্তি জানান, তিন দিন ধরে ছেলের জ্বর হয়েছে। সঙ্গে সর্দি কাশিও আছে। শিশু হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদহ গ্রামের ইজাজ নামে এক ব্যক্তি জানান, তিন দিন ধরে ছেলের জ্বর হয়েছে। সঙ্গে সর্দি কাশিও আছে। শিশু হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
কিন্ত ওরা রাখেনি। যমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখানে ছেলেকে নিয়ে ক’দিন থাকতে হবে জানি না।
চৌগাছা উপজেলার বটতলা গ্রামের মতিয়া বেগম জানান, কয়েকদিন ধরে নাতি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঠান্ডা জ্বরে কাহিল হয়ে যাচ্ছে। আজ ডাক্তার রিলিজ দিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু ডাক্তারকে অনুরোধ করেছি রাখার জন্যে। এজন্যে আজও আছি। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন,
হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। মঙ্গলবার ৯০ শিশু চিকিৎসাধীন আছে। শিশু ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ওষুধ, অক্সিজেন সরবরাহ আছে। তবে শয্যা সংকটে অনেকের কষ্টে থাকতে হচ্ছে। সেবিকা, চিকিৎসকের কোনো অভাব নেই। দু’ একদিনের মধ্যেই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে আশাবাদী।
চৌগাছা উপজেলার বটতলা গ্রামের মতিয়া বেগম জানান, কয়েকদিন ধরে নাতি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঠান্ডা জ্বরে কাহিল হয়ে যাচ্ছে। আজ ডাক্তার রিলিজ দিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু ডাক্তারকে অনুরোধ করেছি রাখার জন্যে। এজন্যে আজও আছি। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন,
হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। মঙ্গলবার ৯০ শিশু চিকিৎসাধীন আছে। শিশু ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ওষুধ, অক্সিজেন সরবরাহ আছে। তবে শয্যা সংকটে অনেকের কষ্টে থাকতে হচ্ছে। সেবিকা, চিকিৎসকের কোনো অভাব নেই। দু’ একদিনের মধ্যেই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে আশাবাদী।