ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কূটনীতিকদের কাছে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনের মিশন প্রধানরা যোগ দেন। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছিল।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি যেকোনো সময় মন্ত্রিসভায় আলোচনাটা হবে। আলোচনা করলে আবারো সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতাদের সাথে বৈঠক করব। আলোচনা চালু আছে, বন্ধ হয়ে যায়নি।

এর আগে আশ্বাস দেয়ার পরেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা না হওয়ায় বিতর্কিত ৯টি ধারা সংশোধনের দাবিতে আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্পাদক পরিষদ।

সম্পাদক পরিষদ এর আগেও একই কর্মসূচি দিয়েছিল। তবে তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তা স্থগিত করা হয়। পরে সম্পাদকরা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সাথে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সম্পাদক পরিষদের আপত্তির বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য তোলা হবে। মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর আবারও সম্পাদক পরিষদের সাথে তিন মন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। এর পর মন্ত্রিসভার দুটি বৈঠক হলেও কোনোটিতেই আইনটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই করেছেন।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই করা রাষ্ট্রপতির রুটিন কাজ’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন করতে সরকার আছে, সংসদ আছে। তাই আলোচনাটা গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আপত্তি জানিয়েছে আসছে।

আরো পড়ুন : রাষ্ট্রদূত হিসেবে সিনেটের অনুমোদন পেলেন রবার্ট মিলার
কূটনৈতিক প্রতিবেদক ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:০৪

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন আর্ল রবার্ট মিলার। শপথ গ্রহণের পর আগামী মাসে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। এর পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করে মিলার আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেবেন।

মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসাবে আর্ল রবার্ট মিলারের সিনেটের অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে তিন বছর আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে মার্শা বার্নিকাট চলতি মাসে ওয়াশিংটন ফিরে যেতে পারেন। সিনেটে মিলারের অনুমোদন চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন বার্নিকাটের বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পেশাদার কূটনীতিক বার্নিকাটের বয়স ৬৫’তে পড়ছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না পেলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তিনি অবসরে যাবেন।

মিলার বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে তিনি বাতসোয়ানায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে রয়েছেন। মিলার ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কনস্যুল জেনারেল ছিলেন। তিনি দিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মিলার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে কূটনীতিক নিরাপত্তা সেবাও কাজ করেছেন।

১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মিলার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কর্পস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

মিলার স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর হিরোইজমসহ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। সামরিক বাহিনীর একাধিক পুরস্কারেও তিনি ভূষিত হয়েছেন। মিলার ইংরেজি ছাড়াও ফরাসি, স্প্যানিশ ও ইন্দোনেশীয় ভাষা জানেন।

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।