ঐক্যফ্রন্টের শুক্রবারের জনসভা নিয়ে আশঙ্কা

ক্রাইমবার্তা রিপোট: সিলেট ও চট্টগ্রামে সফল দুইটি জনসভার পর ঢাকায় আগামী শুক্রবার জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু জনসভার অনুমতি এখনো পায়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সভা হওয়ার কথা।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সাথে বৈঠক করে বিএনপির দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।

আব্দুস সালাম আজাদ জানান, তারা ডিএমপি কমিশনারের সাথে বৈঠক করে কর্মসূচীর কথা অবহিত করেছেন। বুধবার বিএনপির মানববন্ধন ও বৃহস্পতিবার অনশন কর্মসূচীর ব্যাপারে কোনো সমস্যা নেই তবে শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের জনসভার পিছানোর আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। ৬ নভেম্বরের পর যেকোনো দিন জনসভা করলে সেটি বিবেচনা করবে ডিএমপি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ দফা ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হয়। সরকারবিরোধী নতুন জোটে বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্য রয়েছে।

ঐক্যফ্রন্টের শুক্রবারের জনসভা নিয়ে আশঙ্কা

 

আরো পড়ুন : সংলাপ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়

৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৯

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের জন্য আগামী ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে এ সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বাসায় যাবেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। পরে সকাল সাড়ে নয়টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত একটি সূত্র মিডিয়াকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত রোববার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমমন্ত্রীর কাছে ৭ দফা দাবি সংবলিত চিঠি পাঠায় যেখানে জোটের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের দিনক্ষণ জানিয়ে দেয়া হয়।

তবে আওয়ামী লীগের আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি গোলাপকে ড. কামাল হোসেনের কাছে সংলাপের চিঠি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কতজন আসবেন এবং সংলাপের পাশাপাশি কী কী খাবেন সেই মেন্যুও জানতে চাওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়ে অন্য মন্ত্রিদের মতামত জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী।

আর তারও আগে গত রবিবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবর চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।

এই সংবাদ সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে। এই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দেবেন । সংলাপের দিন, সময় ও স্থান পরে জানিয়ে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর সংসদে গিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে ফোন করেন তিনি।

সংলাপে সম্মত আওয়ামী লীগ : এ দিকে পূর্ববর্তী খবরে বলা হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা। পার্টির প থেকে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি এই সংলাপে আমরা সম্মত। আমাদের প থেকে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। শিগগিরই আমরা সময়, স্থান ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো তাদের জানিয়ে দেবো।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই সংলাপ হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন স্বারিত একটি চিঠি দেয়া হয়। আমাদের দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ তা গ্রহণ করেন। চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা সংলাপে বসতে আহ্বান জানান।

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।