ড. কামাল সফল হবেন : আবুল মকসুদ:

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:  বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, দেশ ও জাতির সঙ্কট নিরসনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট সফল হবে বলে আশা করি। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিরোধী জোট থেকে যারা সংলাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা অতীতে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে সফল হয়েছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জনতার পক্ষ নিয়ে বিজয়ী হওয়ার নজির স্থাপন করেছেন তারা।

সৈয়দ আবুল মকসুদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এখন দেশের গনতান্ত্রিক সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। আমি আশা করি এই ২০১৮ সালে দেশে যে রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে তা থেকে উত্তরণে তিনি সফল হবেন।

আরো পড়ুন: কাদের সিদ্দিকীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার নিমন্ত্রণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষক শমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। এসময় উপস্থিত সকলে করতালির মাধ্যমে আহ্বানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

এই সভায় ড. কামাল হোসেন ও অধ্যপক বি চৌধুরীকে এক মঞ্চে উঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। কিন্তু বি চৌধুরী সভায় যোগ দেননি।

সভার একপর্যায়ে কাদের সিদ্দিকী জানান, বি চৌধুরীর এই সভায় আসার কথা ছিল। গতকালও তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি তখনো বলেছিলেন তিনি আসবেন। কিন্তু আজ যখন তিনি শুনলেন যে এই সভায় সভাপতিত্ব করছেন ড. কামাল হোসেন, তখন তিনি না আসার সিদ্ধান্ত নেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বি চৌধুরীর মঙ্গল কামনা করছি, তার দীর্ঘায়ু কামনা করি, তার শুভ বুদ্ধির উদয় কামনা করছি।

ইতোমধ্যেই এই আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামালা হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মনসুর আহমেদ, সৈয়দ আবুল মকসুদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত হয়েছেন। সভাপতিত্ব করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে এই সভার মাধ্যমে তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থা প্রকাশ করবেন। এ কারণে এই সভার দিকে বিশেষ নজর রয়েছে।

গত ৩১ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কি হবে তা তিনি জানাতে সকলকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। এছাড়া ঐদিনই রাতে মোহাম্মদপুরস্থ তার বাসায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের জন্য এক নৈশভোজের আয়োজন করে। সেখানেও কাদের সিদ্দিকী মুখ খুলেননি। বলেছেন আজকের দিনটির জন্য অপেক্ষা করতে।

গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন আজকের আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানাবেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান কেন কেন ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্টে যোগ দেননি। তিনি বলেন, জাতীর সার্বিক ঐক্যে বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন না থাকায় তিনি (ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্টে) কোনো অংশে যোগ দেননি বা নেই বলে জানান ওই সংবাদ সম্মেলনে। আর তিনি এখনো সার্বিক ঐক্যই চান।

তবে আজ কি বলবেন তিনি? সে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এদিকে গত শুক্রবার একটি অনলাইন পোর্টালে খোলামেলা কিছু কথা বললেও তাতে বলেননি আজ কি করতে যাচ্ছেন? কোন দিকে যাচ্ছেন তিনি। কেনই বা তিনি আজকের দিনকে বেছে নিলেন তার রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরতে? ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় ঐকফ্রন্টের সংলাপটি পর্যক্ষেণের অপেক্ষা ছিলেন। এছাড়া গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিকল্পধারার সংলাপটিও পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন শীর্ষ নেতা জানান বঙ্গবীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকার ব্যাপারেই ইতিবাচক মত দেবেন। তিনি জানান ড. কামাল হোসেনের সাথে থেকেই তিনি সার্বিক ঐক্যকে এগিয়ে নেয়াকে সুবিধাজনক বলে মনে করেন। কিন্তু কেন তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আসবেন তা নিয়েও অনেক জল্পনা কল্পনা আছে। সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মিলনমেলার আয়োজন করেছিলেন।

Check Also

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে গ্রেফতার করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।