বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে ঐক্যফ্রন্ট, তফসিল পেছানোর দাবি

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ আসন্ন একাদশ নির্বাচনে অংশ নিবে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে এ জন্য একমাস তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছেন ড. কামাল। আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট।

রোববার দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ড. কামাল হোসেন এ সিদ্ধান্ত জানান।

এর আগে শনিবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন নির্বাচনের আসার বিষয়ে রোববার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে সভা-সমাবেশ করা যাবে, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু এরপরও পুলিশ বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। একদিনেই ১ হাজার দুইশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

ঐক্যফ্রন্টের দাবিকৃত সাত দফা বিশ্লেষণের জন্য আরো আলোচনা প্রয়োজন ছিল বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করে। ৯০ দিনের ৩৫ দিন বাকি থাকতেই তারা ভোটের তারিখ ঘোষণা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সাবেক সিইসি শামসুল হুদাসহ সবাই ইভিএম ব্যবহার না করতে বললেও নির্বাচন কমিশন সবার মতামত উপেক্ষা করে ইভিএম ব্যবহার করছে।

সাত দফা দাবির সাথে আরো একটি দাবি যুক্ত করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনের তারিখ আরো এক মাস পিছিয়ে দিতে হবে। এতে সাংবিধানিক কোন সমস্যা হবে না বলেও জানান ড. কামাল।

জনগণের দাবি মানা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে হুশিয়ারি দেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

এর আগে ২০১৫ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এবারও দলটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। পাশাপাশি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার কারামুক্তিও দাবি বিএনপির।

তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে তাদের এসব দাবি মানার বিষয়ে কার্যত কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গত মাসে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের সঙ্গে দুই দফা সংলাপেও বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Check Also

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে গ্রেফতার করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।