ইভিএম এর কারণে সাতক্ষীরা সদর আসনটি নৌকার পাজয়ের সম্ভবনা# সদরে ৪বার জয়ী হয় জামায়াতের প্রার্থী

ক্রাইমর্বাতা ডেস্ক রিপোট: সাতক্ষীরা:   ১৯৭৩ সালের ৭মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত এ আসনে ৪২ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভাসানী ন্যাপ’র এড. শামসুল হক পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৫৭২ ভোট। ইভিএম এর কারণে সাতক্ষীরা সদর আসনটি নৌকার পাজয়ের সম্ভবনা
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে ৩১ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন মুসলিম লীগের খান এ সবুর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এড. শামসুল হক। তার প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ২৫১। আওয়ামী লীগের মমতাজ আহমেদ ২১ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। একাধিক আসনে জয়লাভ করায় আসনটি ছেড়ে দেন মুসলিম লীগের থান এ সবুব। ঐ একই বছর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করেন খান এ সবুরের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ।
১৯৮৬ সালের ৭মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে ৩০ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জামাতের কাজী শামসুর রহমান। আওয়ামী লীগের মমতাজ আহমেদ পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ৮৬৭ ভোট। বিএনপির প্রার্থী ডা. আবতাবুজ্জামান পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ৯২৮ ভোট।
১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল বর্জন করে। একদলীয়ভাবে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৫ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জামাতের কাজী শামসুর রহমান। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এড. এএফএম এন্তাজ আলী পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ৭৬৭ ভোট। জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান পেয়েছিলেন ২৩ হাজার এক ভোট। বিএনপির ফরিদা রহমান পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮৮৩ ভোট।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সকল দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এড. শামসুল হক নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৪ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জামাতের কাজী শামসুর রহমান। জাতীয় পার্টির সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে পরাজীত হন। আওয়ামী লীগের মো. নজরুল ইসলাম ৪৫ হাজার ৪৫০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। বিএনপির এড. এম মুনসুর আলী পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ৬৪২ ভোট।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে এক লক্ষ ২৪ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত জামাতের আব্দুল খালেক মন্ডল। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৬৯ হাজার ৮৬১ ভোট।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএ জব্বার এক লক্ষ ৩৩ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে জামাতের খালেক মন্ডল পান এক লক্ষ ১৪ হাজার ৫৫৮ ভোট। এ নির্বাচনে সদর আসনে মোট ভোটার ছিল দুই লক্ষ ৭৯ হাজার ২৪৮ জন।
বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে মোট ভোটার ছিল তিন লক্ষ ১৩ হাজার ৫৪৯ জন। এ নির্বাচনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ ৩২ হাজার ৮৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল করিম সাবু পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ৭৭৯ ভোট।

Please follow and like us:

Check Also

আলিপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়ার মোটর সাইকেল বহরে বোমা হামলা, ৫জন আহত

নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্ত্রাসী জনপদ আলিপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম জিয়ার মোটর সাইকেল বহরে বোমা হামলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।