যশোরে ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

তরিকুল ইসলাম, যশোর: যশোরে দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২১ দিনে (২৯ জুলাই সোমবার সন্ধা পর্যন্ত) জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ২৬ জন। প্রতিদিন রোগী বাড়লেও সরকারি এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা নেই বলে জানা গেছে। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের এনএস-১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার জন্য বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে রোগীদের।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল পেতেও বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। সরকারি হাসপাতালে মিলছে শুধু কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) পরীক্ষা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু সাংবাদিকদের জানান, আমাদের হাসপাতালে সিবিসি পরীক্ষা করানো যাচ্ছে। রিএজেন্ট না থাকায় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের বাকি পরীক্ষাগুলো করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
সোমবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের। ওয়ার্ডে পা রাখার জায়গা নেই এমন অবস্থা। বেড ও মেঝেতে রোগীর ছড়াছড়ি। এর মধ্যেই চলছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা। মশারির মধ্যে রাখা হয়েছে তাদের। কেউ কেউ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রোগীরা। তবে ডেঙ্গু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে। রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী (৬৫) জানান, তার কোমরের সমস্যা আছে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসা নিতে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিল। সেখান থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচ দিন হলো এই হাসপাতালে ভর্তি।
চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব কুমার (৪৫) বলেন, পাঁচদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন অনেকটা সুস্থ আছি। বাড়ি থাকতেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছি।
সদর উপজেলার ছোট মেঘলা গ্রামের ইমরান হোসেন (২২) বলেন, ঢাকায় ছিলাম। সেখানেই আক্রান্ত হয়েছি। চারদিন হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাইরের ক্লিনিক থেকে করতে হয়েছে।
যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ইমদাদুল হক রাজু বলেন, ২৯ জুলাই সোমবার সন্ধা পর্যন্ত যশোর জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ জন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, সিভিল সার্জন অফিসে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ সেল খোলা হয়েছে। #

Please follow and like us:

Check Also

ঈদে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পারায় দিনমজুর স্বামীর আত্মহত্যা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পেরে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।