সাতক্ষীরায় ৫৭৮ টি পূজা মণ্ডপে মহাপঞ্চমীর মধ্যদিয়ে চোখের জলে ‘মা দুর্গাকে’ বিদায়

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ  সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদে উৎসবের আমেজ।  পাঁচদিন পূজা উদযাপন শেষে সব পূজামন্ডপেই এখন বিষাদের ছায়া। সোমবার মহানবমী পালনের পর আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের।
‘দুর্গতিনাশিনী’ দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো। মঙ্গলবার চোখের জলে ‘মা দুর্গাকে’ বিদায় জানানো হয়। তালা কপোতাক্ষ নদ যেন কানায় কানায় ভরে যায় ভক্তদের আর্শির্বাদে।

মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন নদী, খাল, বিল, পুকুর এবং জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃসাতক্ষীরা:   সাতক্ষীরায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব কে সামনে রেখে ৫৭৮ টি পূজা মণ্ডপ সেজেছে উৎসবের সাজে।মা দেবীদূর্গার আরাধনা আর মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর)মহাপঞ্চমীর মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার(৮ অক্টোবর) মহাদশমী বা বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব।

জেলায় ৫৭৮টি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ২৭৬১ জন আনসার ।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মা দুর্গাদেবীর বোঁধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, বাঁশি বাজিয়ে মণ্ডপগুলিতে পূজা শুরু করবে।শুক্রবার(৪ অক্টোবর) মহা ষষ্ঠী’র মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এই শারদীয় দুর্গোৎসব।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা।

শাস্ত্রীয় পণ্ডিতরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মহাপঞ্চমীর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে দূর্গোৎসব। এবার দেবী মায়ের আগমন ঘোটকে(ঘোড়ায়) দেবী দুর্গার গমনও ঘোটকে(ঘড়ায়)।যা মোটেও শুভকর নয় বলে দাবী শাস্ত্রজ্ঞদের।

পূজার প্রথম দিন থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, বাঁশি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হবে আকাশ-বাতাস। পূজা মণ্ডপ গুলো সাজানো হয়েছে নতুন নতুন সাজে। আলোক সজ্জ্বায় সজ্জিত করা হয়েছে প্রতিটি মণ্ডপ। এদিকে আসন্ন দুর্গোৎসবকে ঘিরে সাতক্ষীরার সবকটি উপজেলার জনপদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আনন্দের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দুর্গা উৎসব পালনে অনেকে নতুন জামা-কাপড়সহ গৃহস্থালির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনা-কাটা শেষ করেছে।

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার পারকুমিরা হরিসভা পূজা মণ্ডপের পুরোহিত বিশ্বজিৎ চক্রবর্তি ও প্রতিমা শিল্পীরা জানান, সময় যেহেতু আর নেই তাই গত কয়েক দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে চলেছি। তাছাড়া নিখুঁত মূর্তি তৈরিতে করণীয় সব রকম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবারের অন্যরাও এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছেন। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাগুলো জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এসব প্রতিমার কাজ গুলো ষষ্ঠীর আগে শেষ করতে হবে আমাদের।

জেলার অধিকাংশ মন্দিরে চলছে দুর্গাপূজার শেষ প্রস্তুতি। শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে দুর্গাপ্রতিমার সৌন্দর্য বর্ধনে। তাই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণভাবে সাজাতে, মন্দিরগুলোতে দিনরাত মিলিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সদর উপজেলাসহ প্রতিটি মন্দিরগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির পরে তার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। রং তুলির আঁচড় দিয়ে মা দুর্গাদেবীকে জীবন্ত করে তুলচ্ছে।

সদরের কাটিয়া নারকেলতলা মোড় সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি গৌর দত্ত বলেন, আমাদের পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও শেষ হয়েছে। দুর্গা পূজায় সকল ধর্মের অনুসারীদের দেখতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মহাধুমধামে আমরা আমাদের দুর্গা পূজা উদযাপন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা সহ পূজা উদযাপনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জেলা মন্দির ও পূজা কমিটির সাথে ।এ বছর সাতক্ষীরায় সর্বমোট ৯৩টি মন্দিরকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ টি মন্দিরকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে যে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না আশা করি।

এবার সাতক্ষীরায় সাতটি উপজেলার মধ্যে সদরে ১০৬ টি, (তার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ টি)কলারোয়ায় ৪৩ টি,(ঝুঁকিপূর্ণ আছে ৫ টিতে)তালায় ১৮৬ টি,কালিগঞ্জে ৫১ টি(ঝুঁকিপূর্ণ ১২ টি)শ্যামনগরে ৬৬ টি,(ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭ টি তারমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ টি) আশাশুনিতে ১০৫ টি, (ঝুঁকিপূর্ণ ২৪ টি, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪ টি) এবং দেবহাটায় ২১ টি, (ঝুঁকিপূর্ণ ৫ টি, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১ টি) পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দর্শকদের মন আকর্ষণের জন্য পূজা মন্ডপগুলিকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের দেখার জন্য পূজা মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিক সচেষ্ট আছে। ২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে তাদের পরিচিতির জন্য নির্দিষ্ট ব্যাজ প্রদান করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক পূজা মন্দির প্রাঙ্গণ তদারকি করবেন। যাতে কোনভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে।

শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমরা মণ্ডপগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছি। আর সে অনুযায়ী আমরা তিনটি স্তরের নিরাপত্তা দেব। যেন কোন ধরণের অপ্রতীকর ঘটনা না ঘটে। সেজন্য আমরা সর্বদা সজাগ রয়েছি। সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে তাদের দুর্গোৎসব পালন করতে পারে সে জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এছাড়া দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় থাকবে। যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

 

—–০—-

বিজয়া দশমী উপলক্ষে মঙ্গলবার ছিল সরকারি ছুটি। দশমীর পূজা আরম্ভ হয় সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এবং পূজা সমাপন ও দর্পন বিসর্জন হয় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে।

 ঢাক,কাঁসরের বাদ্য-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি ও পূজারি-ভক্তদের পূজা-অর্চনায় কেবলই মা দুর্গার বিদায়ের আয়োজন। কারণ আজ মঙ্গলবার শুভ বিজয়া দশমী। গত পাঁচদিন পূজা উদযাপন শেষে সব পূজামন্ডপেই এখন বিষাদের ছায়া। সোমবার মহানবমী পালনের পর আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের।দুর্গা পূজার অন্ত চিহ্নিত হয় বিজয়া দশমীর মাধ্যমে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনেই পিতৃ-আবাস ছেড়ে দেবী পাড়ি দেন স্বামীগৃহ কৈলাসের দিকে। এই দিনেই তাই দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। ভারত ও নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দিনটি নানাভাবে পালিত হয়ে থাকে। ‘দশমী’ কথাটির প্রাসঙ্গিক তাৎপর্য সহজবোধ্য। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে দেবী কৈলাস পাড়ি দেন। সেই কারণেই ‘বিজয়া দশমী’ নাম। কিন্তু এই দশমীকে ‘বিজয়া’ বলা হয় কেন, তার পৌরাণিক ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে একাধিক কাহিনি সামনে আসে। পুরাণে মহিষাসুর-বধ সংক্রান্ত কাহিনিতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পরে দশম দিনে তার বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেন দেবী। শ্রীশ্রীচন্ডীর কাহিনি অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবী আবির্ভূতা হন, এবং শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর-বধ করেন। বিজয়া দশমী সেই বিজয়কেই চিহ্নিত দেবী দুর্গার বিদায়ের দিনে বিষাদের সুরেই বিজয়া দশমী পালন করে মর্ত্যবাসী। বিজয়া দশমীতে মা দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। এই দিনটি শেষ হয় মহাআরতির মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।সর্বশেষ যে রীতিটি পালিত হয়, এর নাম “দেবী বরণ”। এটি শুরু হয় বিবাহিত নারীদের সিঁদুর খেলার মাধ্যমে। বিবাহিত নারীরা সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গা মাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। তাঁরা এই সিঁদুর মাখিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান। দুর্গাকে নিয়ে যাওয়ার আগে সিঁথিতে সিঁদুর মাখানোর পর আঙুলে লেগে থাকা বাকি সিঁদুর তারা একে অপরের মুখে মাখেন। এই সিঁদুর মাখার রীতি অনেক সময় দশমী ঘরে পালন করা হলেও অনেকে আবার নিজেদের ঘরেই খেলে থাকেন।এই রীতির অন্যতম গুরুত্ব হলো, বিবাহিতরা তাদের সিঁদুরের স্থায়িত্ব অর্থাৎ তাদের স্বামীর দীর্ঘ জীবন কামনার উদ্দেশ্যেই তাঁরা এই সিঁদুর খেলা খেলে থাকেন। এ কারণেই সম্ভবত বিধবা নারীদের এই খেলার রীতির প্রচলন নেই। কারণ বিধবারা সিঁথিতে সিঁদুর পরতে পারেন না।বাঙালি হিন্দু নারীরা তাদের প্রথাগত ও ঐতিহ্যবাহী কাপড় পরে দুর্গার পায়ে সিঁদুর মাখেন। এরপর নিজেদের মুখে মাখেন। তাদের স্বামীর দীর্ঘ জীবন ও সুখ-শান্তি কামনা করেন। এভাবে পালিত হয় তাঁদের সিঁদুর খেলা। আর এই খেলা হিন্দুধর্মাম্বলীদের জন্যে প্রয়োজনীয়, কারণ তাঁদের মতে জীবনসঙ্গিনীর দীর্ঘ জীবন কামনা এই পূজার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বিশ্ব সংসারে ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। আর এখানেই বিজয়া দশমীর বিশেষত্ব অন্যরকম বলে মনে করা হয়।শেষবারের মতো দেবীর আশীর্বাদ কামনায় নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর সব বয়সের ভক্ত নিবিষ্ট মনে প্রার্থনা করেন। কীর্তন-শ্যামা সঙ্গীতের মধুর সুর আর ভক্তদের কলকাকলিতে বিভিন্ন পূজামন্ডপে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের রঙ। প্রতিটি মন্ডপেই কয়েক দফা করে পুষ্পাঞ্জলি দেয়া হয়। বিদায় বেলায়ও চলেছে ঢাক আর শঙ্খধ্বনি, টানা মন্ত্র পাঠ, উলুধ্বনি, অঞ্জলি, ঢাকের বাজনার সঙ্গে ধুনচি নৃত্য। সন্ধ্যায় মন্ডপে মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Please follow and like us:

Check Also

ঈদে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পারায় দিনমজুর স্বামীর আত্মহত্যা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পেরে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।