মৌসুমীকে হারিয়ে সভাপতি হলেন মিশা সওদাগর: ফেসবুকে ভাইরাল যে ছবি

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমীকে হারিয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা সওদাগর।

বিজয়ী হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে মিশার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ শনিবার এই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ❤ শহীদ হাসান মিশা ( মিশা সওদাগর ) জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সাবেক সহসভাপতি, টানা দ্বিতীয় বার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত।’

এরপরই বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে মিশার এই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের প্যানেল।

শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়। চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।

এরপর ভোট গণনা শেষে মধ্য রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন।

সভাপতি পদে মিশা পেয়েছেন ২২৭ ভোট ও মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ২৮৪ ভোট ও ইলিয়াস কোবরা পেয়েছেন ৬৮ ভোট।

২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৮৬ শতাংশ। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৪৯ জন। নির্বাচন কমিশনের সূত্রমতে, ভোট দিয়েছেন ৩৮৬ জন।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সমিতির ২১টি পদের মধ্যে নির্বাচন হয় ১৮টিতে।

এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই বিজয়ী হিসেবে নাম এসেছে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদের।

-0-

মৌসুমীকে হারিয়ে সভাপতি হলেন মিশা সওদাগর

মৌসুমী ও মিশা সওদাগর
মৌসুমী ও মিশা সওদাগর। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমীকে হারিয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান।

অনেক প্রতীক্ষার পর সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার রাত ১টার দিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন।

এবার ২১টি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মোট ভোটার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৬জন।

নির্বাচিত হওয়ার পর গণমাধ্যমকে মিশা শওদাগর বলেন, ‘সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আবারও জয়ী হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী, কলাকুশলীসহ এফডিসিসহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জয়ী হওয়ার পরই আমার প্রথম কাজ হবে ইশেতেহারে যা যা বলেছিলাম তার বাস্তবায়ন ঘটানো। শিল্পীদের সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাব। আমাদের গতবার যে কাজগুলো করা হয়নি সেগুলো এবার পূরণ করব।’

সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব। শিল্পীরা কেউ হারেনি। আমরা আগামীতে যেন বিগত বছরের কাজের গতিটা ধরে রাখতে পারি সবার কাছে এই দোয়াই চাই। শিল্পী সমিতির সব ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের প্যানেলকে ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে আবারও ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। এবার আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার পালা।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ভোটের আগ থেকে উত্তাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোট হয়েছে সুষ্ঠুভাবেই।

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন নানা কারণেই ব্যতিক্রম। ভোট গ্রহণের আগে শিল্পীদের মধ্যে চলেছে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি। এছাড়া এবার প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রার্থী সভাপতি পদে লড়েছেন। জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সভাপতি পদে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল, নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও ইলিয়াস কোবরা।

সাংগঠনিক পদে প্রার্থী হন সুব্রত। তার বিপরীতে কোনো প্রার্থী ছিল না। আন্তর্জাতিক পদে প্রার্থী হন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ, নায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে প্রার্থী হন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়েন দুইজন। তারা হলেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদ নির্বাচন করেছেন একা।

কার্যকরী সদস্য পদ রয়েছে ১১টি। এই পদগুলোর জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন- রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, অলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব, শামীম খান ও জেসমিন।

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।