সাতক্ষীরায় স্ত্রীর সন্ধান চেয়ে থানায় জিডি: ১০ দিন পর লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে: স্বামীর দায় শিকার : সংবাদ ভাইলাল

ক্রাইমর্বাতা রিপোট কালিগঞ্জ:   সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে তার লাশ টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিল স্বামী শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার দু’দিন পর কালিগঞ্জ থানায় একটি জিডিও করেছিল সে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পচা-গলা লাশের গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসী শহিদুলকে আটক করলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফাকে সে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

বুধবার পুলিশ সোনাতলা গ্রামের সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফা খাতুনের (৩৫) লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পুলিশ জানায়, কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা খাতুন। গত ১৭ নভেম্বর স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরের পানির মধ্যে দিয়ে লাশ টেনে বাড়ির পাশের একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে চাপা দেয়।

এই হত্যার বিষয়টি গোপন করতে সে নিজে ১৯ নভেম্বর কালিগঞ্জ থানায় স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে জানিয়ে একটি জিডি করে।

এদিকে আজ সকালে পচা লাশের গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা শহিদুলকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের কাছে শহিদুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, লাশটি ট্যাংক থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

Please follow and like us:

Check Also

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।