ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম পূনরায় র্নিবাচিত হয়েছেন। আজ বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযুস কান্তি ভুট্টাচার্য তাদের নাম ঘোষণা করেন।
একই সাথে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম জমা দিতে নবনির্বাচিত সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রস্তাবক সমর্থকসহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলা হয়। এরপ্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদ পদে ৬ জন প্রার্থী হন। সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক এমপি, বর্তমান সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু ও মীর মোস্তাক আহমেদ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা হলেন মোঃ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু আহমেদ, আসাদুজ্জামান বাবু, আ হ ন তারেক উদ্দীন, শেখ সাহিদ উদ্দিন ও ফিরোজ কামাল শুভ্র। প্রার্থীদের আলাপ-আলোচনার জন্য আধা ঘন্টা সময় দেওযা হয়।এর আগে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযুস কান্তি ভুট্টাচার্য। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ এমপি, শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, এড. আমিরুল আলম মিলন ও মারুফা আক্তার পপি বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিল উদ্বোধন করা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কে হচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধর…?
এর আগে কে হচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে দুই কর্ণধর তা নিয়ে চলতে থাকে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা।। চায়ের দোকন থেকে শুরু করে সবখানে চলছে এনিয়ে আলোচনা। সভাপতি পদে একাধিক প্রবীণ নেতা ইচ্ছেপোষণ করেছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েক জন তরুণ নেতা মাঠে নেমেছেন। প্রার্থীরা মাঠ থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন দেখার পালা লবিং-এ কে হারে আর কে জেতে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আলোচনার যেনো কোন শেষ নেই। সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন তা দেখার জন্য অধিরআগ্রহে বসে আছে জেলার ২৪ লাখ মানুষ। অন্যান্য পদে কে আসছেন তানিয়ে মানুষের জানার তেমন কোন আগ্রহ না থাকলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছে তা জানবার আগ্রহের কোন কমতি নেই।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে যাদের নাম মূল আলোচনায় উঠে এসেছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরা-৩ আসনের বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা: আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা সদর আসনের দুই দুই বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান। চারজনই আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা।
সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রবীণ-তরুন নেতার নাম আলোচনায় আছে। এরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবীণ নেতা আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ আওয়ামী লীগে নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ্ব মো: আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়ত সভাপতি সৈয়দ কামাল বখত সাকির একমাত্র সন্তান জননেতা সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন এবং ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কারাবরনকারী তরুণ জননেতা আ হ ম তারেক উদ্দীন।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল কে ঘিরে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারাই আছেন আবারও তারাই থাকছেন। এই দু’টি পদে হয়তো পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু অন্য প্রার্থীরা এটা মানতে নারাজ। তাদের দাবি পরিবর্তনের রাজনীতি প্রয়োজন। দলের রাজনৈতিক বিকাশ ঘটাতে হলে পরিবর্তন আসা খুবই জরুরী।