জীবন পরিবর্তন করে যে মুনাজাত

সবাই কে অনুরোধ করছি এই মোনাজাতে শামিল হোন।
ও আমার রব, আজ তোমার দুয়ারের দু হাত পেতে বসেছি।আমারা মূর্খ আমরা জ্ঞান শূন্য কিভাবে তোমার কাছে রহমত চাইতে হয় তাও জানি না।কিভাবে ডাকলে তোমার নারাজি দূর হয়ে যায় তাও জানি না।
মাওলা গো শুধু দু চোখের পানি ফেলে বলছি, আমাদেরকে মাফ করে দাও।
আমাদের কবীরা,সগীরা,শিরিক গুনাহ,যেনার গুনাহ,জানা গুনাহ,অজানা গুনাহগুলো মাফ করে দাও।
ও আল্লাহ আমরা শয়তানের ধোকায় পড়ে গুনাহ করেছি,অভাবে গুনাহ করেছি,স্বাভাবে গুনাহ করেছি,দেখা দেখি গুনাহ করেছি,ইহুদিদের মত চলাফেরা করেছি,তাদের সাথে তাল মিলিয়েছি, গুনাহ স্বীকার করিনি,তোমার রহমত, নেয়ামত পেয়ে ও শুকরি করিনি,যে যার মত পথ ভ্রষ্ট হয়ে গেছি।
মাওলাগো আমাদের এসকল গুনাহ আসমান জমিনের চেয়ে ও বিশাল হয়ে গেছে।গুনাহগারীর জন্য তুমি মাবুদ নারাজ হয়ে গেছো।দুনিয়ায় গজব নাযিল করেছো।
ও রাব্বুল আলামীন তোমার কাছে আজ অনুতপ্ত হয়ে, আমাদের সব গুনাহগারী স্বীকার করে নিচ্ছি,ও রহমতের মালিক, হেদায়েতের মালিক আমাদের এই গুনাহ গুলো তুমি মাফ করে দাও।একটাবার রহমতের নজরে দেখো।
ইয়া রহমানু রহিম,আমরা যখন অপরাধ করি। মা আমাদের শাসন করে, যখন আমরা ব্যাথা পেয়ে হাউমাউ করে কাঁদি।আর থাকতে না পেরে দুঃখিনী মা পরখনে আবার বুকে ঝরিয়ে ধরে মাফ করে দে।
মাওলা গো তুমিতো মায়ের চেয়ে কৌটি কৌটি গুন বেশি দরদী। ও দয়াময় তুমি যদি রুষ্ট হয়ে যাও, আমরা কার কাছে যাবো?তুমি ছাড়া তো কোন মাবুদ নাই।তুমি ছাড়া এত মহিমাময় আর কেউই নাই।
ও পরোআরদেগার, যখন নিজের ভুল গুলো বুঝতে পারলাম,তোমার আযাব চারদিকে শুরু হয়ে গেল,আমি গুনাহগার দৌড়ে গেলাম মসজিদের দিকে, আজ মন ভারে দোয়া করবো, গুনাহ মাফি চাইবো।সকলের সাথে আমিও দুহাত তুললে। আমার আল্লাহ মাফ না করে থাকতে পারবেন না।
কিন্তু ততক্ষণে দেখি তোমার রহমতে জায়গা, শান্তির জায়াগা,গুনাহ মাফের জায়গা সেই মসজিদ ও বন্ধ হয়ে গেছে। আমি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদি।
আল্লাহ গো আমার গুনাহ তো মাফ চাই নাই, আমি তো ঠিক সময় নামজ পড়ি নাই, নামাজের সময় ব্যাস্ততা দেখিয়েছি,বাহানা দিয়েছি কত।আজ মাপ চাইতে এসে দেখি রহমতের মসজিদ ও বন্ধ হয়ে গেল,তোমার কাবার দিকে তাকিয়ে দেখি রহমতের জায়গা, যেখানে একবার খালেচ নজরে তাকালেও তুমি গুনাহ মাফ করে দাও।কৌটি কৌটি মুসলিমের জন্য হেদায়েতের জায়গা।দখল করে নিয়েছে পাখিরা।আজ আমরা মুসলমানরা ঢুকতে পারি না অথচ পাখিরা তাওফ করে।
ও সাত আসমানের মালিক, লাওহে মাহফুজের মালিক,মসজিদুল হারামের মালিক আমার কলিজা ফেটে যায়।আর নিজেকে আটকে রাখতে পারি না,মাফি চাওয়ার জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়ি।আমাদের মাফ না করে তুমি মাওলা রহমতে দরজা বন্ধ করে দিও না।
ও আমার রব,কত বড় বড় দেশ তুমি স্তব্ধ করে দিয়েছো।যারা পরমাণু বোমা,হাইড্রোজেন বোমা,জীবাণু বোমা বানিয়ে পর্যন্ত এক সাথে এত লোক মারতে পারেনি, কোন দেশের শাসক এক সাথে এত গুলো দেশকে অবরুদ্ধ করতে পারেনি।
মাওলা গো তোমার অসীম শক্তিতে সারা বিশ্ব আজ কারাবরণ করেছে।বাঁচার জন্য লড়াই করছে।তবুও দীর্ঘ হচ্ছে লাশের পর লাশের সারি।
ওহ মাওলা বড় বড় দেশে কত ব্যাবস্থা কত চিকিৎসা কত চেষ্টা চলছে জীবন বাঁচাতে, আর আমাদের গরীব দেশে দু মুঠো ভাত জোগাতে পারি না,মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।আমরা অসহায় রা কোথায় যাবো?তোমার এমন আযাবের সামনে আমরা পিপড়াদের মত মরবো।আমরা অন্ধের মত তোমার উপর ভরসা করে আছি আল্লাহ। আমাদের জন্য তোমার রহমতে ফেরেশতা নাজিল করে দাও। আমিন
মাওলাগো এ কেমন আযাব তোমার? মা সন্তান কে দেখতে পারেনা,সন্তান বাবা-মা কে দেখতে পারে না।কেউ কারো কোন কাজে আসছে না।সবাই নিজে বাঁচতে মরিয়া হয়ে ছুটছে।ডাক্তার কাঁদে,সেবিকা কাঁদে,পাড়া প্রতিবেশী কাঁদে,দেশ বাসী কাঁদে, বিশ্ববাসী কাঁদে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারি না। কলিজার ভিতর ভয় ধরে যায়। এ বুঝি মাকুল মাউত চলে এলো।আমিও মনে হয় কবর দেশের পথিক হয়ে গেলাম।মাওলাগো এমন মৃত্যুর মিছিল আর দেখি নাই জীবনে।
আমাদের দুয়ারে যেন মৃত্যু হাজির হয়ে গেছে! তুমি মাওলা হকুম দিলে,মালাকুল মউত এসে দেহ চিড়ে প্রান কবজ করে নিবে।ও মাবুদ তুমি মৃত্যুর আগে আমাদের দেহ ঈমান দিয়ে ভরিয়ে দাও।(আমিন) জোবানে কোরাআনের আয়াত গেঁথে দাও,দু চোখ তোমার রহমতের নূরে পরিপূর্ণ করে দাও।(আমিন)দুনিয়ায় বসে যেন করবরের আযাব মাফ চেয়ে যেতে পারি সেই সুযোগ করে দাও।(আমিন)
ওহ মাওলা তোমার কাছে তওবা করছি। আমাদের পূর্বের গুনাহগুলো মাফ করে দাও।আর কখনো যেন সেই গুনাহ না করি সেই রহমতও তুমি দান করে দাও (আমিন)।আমাদের তওবা কবুল করে পূর্বের গুনাহ গুলো কেও নেক আমল দ্বারা পরিপূর্ণ করে দাও।ও রহমতের মালিক এই তামাম দুনিয়ায় যত মানুষ আছে প্রত্যেকের গুনাহ মাফ করে দাও।তুমি মাওলা যদি ১৮০ কোটি মুসলমানদের সাথে আরো কোটি কোটি অমুসলিমদের ও মাফ করে দাও। তাহলেও তোমার ওপর অভিযোগ করার সাধ্য কারো নাই।তাদের ও যদি হেদায়াতের পথ দেখাও,আমাদের কারো সাধ্য নেই সে সব নিয়ে তোমাকে প্রশ্ন করার।তারাও তো তোমার বন্দা তাদেরও তুমি রহমতের চাদরে আবৃত করে নাও।(আমিন)
দুনিয়াব্যাপী এ গজব, আনে ওয়ালা যত মুসিবত আছে সব কিছু থেকে আমাদের হেফাজত করো মালিক।
আল্লাহ গো,, যারা ইতিমধ্যে মারা গেছে তাদের তুমি জান্নাতুল ফেরদৌসে নসিব করে দিও। তাদের কবরের আযাব মাফ করে দিও।আমাদের নামাজ রোজা নেক আমলের সোয়াব তাদের কবরে কবরে পৌঁছে দিও।তাদের কবর গুলো কে জান্নাতের অংশ বানিয়ে দিও (আমিন)।
ও দুই কাঁধের ফেরেশতা আমাদের এই অার্জি আল্লাহর আরশে অজিম পর্যন্ত পৌঁছায় দাও।লাওহে মাহফুজে পৌঁছে দাও,খানায় কাবায় পৌঁছে দাও,মদিনা মনোআরায় পৌঁছে দাও,জান্নাতুল বাকিয়ায় পৌঁছে দাও, সিদরাতুলমুনতাহায় পৌঁছে দাও, কারবালারর ময়দানে পৌঁছে দাও আল্লাহর যত পবিত্র স্থান আছে তাতে পৌঁছে দাও।
আমার দো-জাহানের সর্দার, আমার দরদী নবী, মায়ার নবীর দরবার পেশ করে দাও। আমার নবীজীকে বলে দিও তার উম্মতের ভালো নাই।আমার নবীজি যদি একবার সুপারিশ করে দেন,আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন আমাদের মাফ না করে থাকতে পারবেন না।
ও দু কাঁধের ফেরেশতারা আমাদের আর্জি আল্লাহর যত পেয়ারা বান্দা। তামাম দুনিয়ায় এসেছে প্রত্যেকের দরবারে দরবারে বকশিস করে দাও।আমাদের জান্নাতের যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান হোসাইন রহঃ তায়ালা, হযরত আবু বক্কর রহঃ,হযরত ওমর, ওসমান রহঃ,হযরত আলী রহঃ আমাদের মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম আঃ,হযরত ঈসা আঃ,হযরত মুছা আঃ এর দরবারে বখশিশ করে দিও।মা সৈয়দা ফাতিমা রহঃ,আছিয়া রহঃ, মা মরিয়ম রহঃ তাআলার কাছে পৌঁছে দিও।
আমাদের বড় পীর হুজুর আবদুল কাদের জিলানী রহঃ,খাজা গরীবে নেওয়াজ,হযরত মোহসেন আউলিয়া, হযরত শাহ জালাল,শাহ পরান রহঃ আল্লাহর যত পয়গম্বর আছে প্রত্যেকের কাছে এই অার্জি বখশিশ করে দিও।
ও আল্লাহর কামেলগন তোমার আমাদের জন্য আল্লাহর আরশে আজীমে একটু সুপারিশ করে দাও।আল্লাহ যেন আমাদের হাত দুটো কে কবুল করে নেন।
আমাদের আম্মু আব্বু ভাই বোন আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী,দেশবাসী প্রত্যেকে তুমি ভালো রেখো সুস্থ রেখো মাবুদ।
ও মাওলা কত সময় রাগ করে,,,, যারা আমাদের কষ্ট দিয়েছে, কাঁদিয়েছে,আঘাতে আঘাতে মেরেছে তাদের অভিশাপ দিয়েছি গজব দিয়েছি। ও আমার রব আমি তাদের তোমার ওয়াস্তে মাফ করে দিলাম।তুমিও আমাকে মাফ করে দাও।
ইয়া গাফুরুর রহিম তোমার রাগের চেয়ে দয়া অনেক বেশি,কঠিন আযাবের চেয়ে রহমতে ভাগ বেশি। বিশাল রহমতে থেকে যদি একটু আমাদের জন্য বর্ষিত করো কোন অংশে কম হবে না মাওলা।তোমার বিশাল রহমতের ছায়া তলে যাওয়ার তৌফিক দান করো মলিক।মৃত্যুর পর তোমার বিশালের চেয়ে ও বিশাল জান্নাতের একটা কোনায় আমাদের একটু ঠাই করে দিও রাব্বুল আলামীন।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ।
আমিন

Please follow and like us:

Check Also

বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়

অবশেষে মুক্তিপণে ৩১ দিন পর অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেলেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।