ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১৪৭টি আশ্রায় কেন্দ্র খুলা হয়েছে

আবু সাইদ বিশ্বাস: ক্রা্ইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরও উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে আসায় সাতক্ষীরায় দুযোগ প্রস্ততি বিষয়ে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
চট্রগ্রাম কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাতক্ষীরা ,খুলনা বাগেরহাটাসহ উপকুলীয় এলাকায় ৪ নংনম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। রোববার সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এর পর উপকুলীয় জেলায় সাতক্ষীরায় ঘুণিঝড় আমফান মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্টিত সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শায়ায়েত, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকতসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বে-সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা প্রশাস এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ১৪৭টি আশ্রায় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সামজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে সোমবার দুপুরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রায়ে সরিয়ে নেওয়া উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১হাজার ৭৯৬ টি স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুকে নিরাপদে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশ্রায় কেন্দ্রে আগতদের জন্য সেনিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হবে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীদের জন্য আলাদাভাবে নজর রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে করোনার বিষয় মাথায় রেখে আশ্রায় কেন্দ্রের প্রবেশের আগে সকলের থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে তারপর আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আইসোলেশনে রাখার নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। থাইল্যান্ড এর নাম দিয়েছে ‘আম্পান’। গত নভেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র গতি অনুসরণ করেই এগোচ্ছে ‘আম্পান’। আগামী মঙ্গল বা বুধবার এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল রূপ ধারণ করতে পারে। মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিস। তবে স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে গতি কিছুটা কমে আসতে পারে।

আবু সাইদ বিশ্বাস:সাতক্ষীরা: ১৭/৫/২০২০

—————0————-ক্রাইমর্বাতা রিপেট:   বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরও উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে এসেছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাতক্ষীরা ,খুলনা বাগেরহাটাসহ উপকুলীয় এলাকায় ৪ নংনম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

রোববার সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সকাল ৬টায় (১৭ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। থাইল্যান্ড এর নাম দিয়েছে ‘আম্পান’। গত নভেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র গতি অনুসরণ করেই এগোচ্ছে ‘আম্পান’। আগামী মঙ্গল বা বুধবার এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল রূপ ধারণ করতে পারে। মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিস। তবে স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে গতি কিছুটা কমে আসতে পারে।

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।