শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের লাশ পোড়ানোর বিরুদ্ধে পিটিশন

ক্রাইমর্বাতা রিপোট:  শ্রীলঙ্কায় করোনায় মৃতব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে ফেলা নিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া মুসলিমদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার ওপর জোর দিয়েছে। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মুসলিমরা ক্ষুব্ধ। অবশেষে তারা এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছে। সেই আপিলের শুনানি শুরু হবে ১৩ই জুলাই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু মুসলিমরা কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলছেন, মহামারির সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে ফেলা ইসলামী রীতি বিরুদ্ধ।

মুসলিমরা মারা গেলে রীতি অনুযায়ী জানাজা শেষে তাদেরকে দাফন করা হয়। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্তে সেখানকার মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এমন ঘটনার শিকারে পরিণত হয়েছেন রাজধানী কলম্বোতে তিন সন্তানের মা ফাতিমা রিনোজা (৪৪)। তিনি করোনা ভাইরাসে মারা যাওয়ার পর তার মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে ফেরত দেয়া হয় নি। বিবিসি লিখেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে ফাতিমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মে মাসের শুরুতে। তার স্বামী মোহামেদ শফিক। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর লোকেরা আমাদের বাড়ি এলো। আমাদেরকে বের করে দিয়ে বাড়িতে জীবাণুনাশক ছিটানো হলো। এ বিষয়ে তারা আমাদেরকে কিছুই বলেনি। তিন মাসের বাচ্চাকেও পরীক্ষা করলো তারা। তারা আমাদেরকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে গেল কুকুরের মতো।
ফাতিমা বাদে কোয়ারেন্টিনে থাকা তার পরিবারটি খবর পেল, ফাতিমা মারা গেছেন। তার বড় ছেলেকে বলা হলো হাসপাতালে গিয়ে মায়ের মৃতদেহ শনাক্ত করতে। তাকে বলা হলো করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার কারণে ফাতিমার মৃতদেহ পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হবে না। এর পরিবর্তে তাকে বাধ্য করা হলো একটি কাগজে সই দিতে। ওই কাগজে ফাতিমাকে পুড়িয়ে ফেলার অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এটাতে জোর করে সই নেয়া হয় ফাতিমার ছেলের। মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন রীতির বিরুদ্ধে মুসলিমরা পিটিশন দায়ের করেছে আদালতে।

Please follow and like us:

Check Also

ঈদে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পারায় দিনমজুর স্বামীর আত্মহত্যা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পেরে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।