চৌগাছার আরমান শরিফের বাঁচার আকুতি

মোঃ রুহুল আমিন( চৌগাছা) যশোর,প্রতিনিধিঃযে সময় খেলার সঙ্গীদের সাথে খেলা করে বেড়ানোর কথা আরমান হোসেন শরিফের, ঠিক সেই বয়সে রোগ শয্যায় আরমান। মরণ ব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। চি‌কিৎসার অভা‌বে একটু একটু ক‌রে মৃত্যুর দি‌কে এ‌গি‌য়ে যা‌চ্ছে সে।
শরীফ যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের বাঘারদাড়ি গ্রামের আব্দুল্লাহ হোসেন লাল্টুর ছেলে ও স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির মেধাবি ছাত্র।
আরামানের বাবা চৌগাছা শহরে তালা চাবির ম্যাকানিকের কাজ করেন। যৎসামান্য আয়ে খেয়ে না খেয়ে ৫ ছেলে মেয়ে সহ ৭ সদস্যের সংসার চলে তার। বর্তমানে সময়ে করোনার কারনে খরিদ্দার নেই বল্লেই চলে বলেন আরামানের বাবা লাল্টু।
আরমান শরিফের মা ছায়েরা বেগম ও পরিবারের সদস্যরা জানান, এখন থেকে দুই বছর পূর্বে বাড়ির পাশের রাস্তায় সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে বাম পা ও কোমরে আঘাত পায় সে। ঘটনার দিনেই চৌগাছা সরকারি হাসপাতালের অর্থপেডিক ডা. ইউনুচ আলীর কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া হয়। সেখান থেকে কিছু ঔষধ খাওয়ার পরে পায়ের ব্যাথা ভালো হয়ে যায়।
কিন্তু রয়ে যায় কোমরের ক্ষীন ব্যাথা। দুই বছর পরে আরমান আবারো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে ডা. ইউনুচ ও যশোরের আব্দুর রউফকে দেখানো হয়। এতেও সুস্থ্য না হলে খুলনার মাইক্রোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. তুষার আলমকে দেখানো হয়। সেখানে পরীক্ষার পরে ধরা পড়ে শরিফের কোমরের ৯ নং হাড় ভেঙ্গে রয়েছে। যে কারনে ভাঙ্গা হাড়ের থেকে ক্যালসিয়াম কোমরের নিচে বাম পায়ের উরুতে টিউমার আকার ধারণ করেছে। সেখানে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার । বর্তমানে ঢাকার ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। বর্তমা‌নে আরমান স্বাভা‌বিক ভা‌বে পেশাব পায়খানা কর‌তে পা‌রেনা । কৃ‌ত্রিমভা‌বে ক্যা‌থে‌টে‌রিয়ার দি‌য়ে চল‌ছে পেশাব পায়খানা ।
একদিকে করোনা প্রাদূর্ভাব অন্যদিকে টাকার অভাবে বর্তমানে চিকিৎসা বন্ধ করে বাড়িতেই রাখা হয়েছে আরমানকে। আরমান শরিফের বাবা জানান, ম্যাকানিকের কাজ করে সংসারই চলেনা। তার পরেও সহায় সম্বল বিক্রী করে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করেছি চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দু’এক মাসের মধ্যে অপারেশন করলে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে আরমান শরিফ। অপারেশন করতে খরচ হবে ৫/৭ লাখ টাকা। আমার সহায় সম্বল সব বিক্রি করা শেষ। চৌগাছা ডিভাইন গ্রুপের অনুদানের ভিটেবাড়ি ছাড়া কিছুই নেই আমার। এখন স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঔষুধ কিনতে হচ্ছে। কেউ সাহায্য না করলে ঔষুধ কিনতে পারছিনা। এত টাকা পাবো কোথায় ? টাকার অভাবে বর্তানে চিকিৎসা বন্ধ করে বাড়িতে রেখেছি।
ছেলেকে বাঁচাতে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, ডিসিসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন শরিফের পিতা লাল্টু ও মাতা ছায়েরা বেগম। সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করতে পা‌রেন এই দু‌টি সেল‌ফো‌নে ০১৭৪০৪৬৭৫৭২, ০১৭৮৪৫৭১২১২। নম্বর দু‌টি‌তে বিকাশ খোলা আছে।
Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।