মেজর সিনহা মৃত্যুর পূর্বে পানি চাইলে ওসি ওসি প্রদীপ গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেন

* ক্রসফায়ারে হত্যা, প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলা
* স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে ৩ সাক্ষী কারাগারে
* প্রদীপকে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ
* আত্মগোপনে প্রদীপের স্ত্রী চুমকি  
নাছির উদ্দিন শোয়েব : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যু নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে রোমহর্ষক তথ্য দিয়েছেন ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল  রক্ষিত। তারা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে বলেছেন, সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত জেনে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ওসির নির্দেশেই সেদিন সিনহাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলী করা হয়। তবে কী কারণে তিনি সিনহাকে হত্যা করেন তা এখনও অজানা। এদিকে ওসি প্রদীপকে গতকাল বুধবার জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। এছাড়া পুলিশের তিন সাক্ষী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইন্সপেক্টর লিয়াকতের জবানবন্দীতে তিনি জানিয়েছেন, ওসি প্রদীপ তাকে আগে থেকেই বাহারছড়ায় ডাকাত আছে এমন কথা বলে রেখেছিলেন। এছাড়া তারা ভিডিও শ্যুটিং করছে বলে ওসি প্রদীপ জানান। এ সময় তাদের দেখামাত্র হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জবানবন্দীতে লিয়াকত আরও জানান, ঘটনার দিন গাড়ি থামালেই সিনহা বের হতেই দূর থেকে ভয়ে বা যেকোনো কারণেই ৪ রাউন্ড গুলী ছোড়েন তিনি। তবে সিনহার হাতে কিছু ছিল কিনা তা তিনি দেখেননি। পরবর্তীতে ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে আসতেই জানতে চান মেজর সিনহা বেঁচে আছেন কিনা। লিয়াকত জানান, মেজর সিনহা মারা যাননি। এখনও আহত অবস্থায় আছেন। ওসি প্রদীপ তখন সিনহার বুকের বাম পাশে লাথি মারেন। এসময় পানি খেতে চান সিনহা, তখন গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেন। সিনহা কিছুটা স্থবির হয়ে গেলেই ওসি প্রদীপ আনন্দ প্রকাশ করেন।  এসআই নন্দদুলালের জবানবন্দীতে জানান, সিনহা গাড়ি থেকে নামতেই প্রথমে লিয়াকত দুই রাউন্ড গুলী করেন। তিনি একপা সামনের দিকে এগোলে আবারও গুলী ছোঁড়েন লিয়াকত। যেখানে লিয়াকত জবানবন্দীতে জানিয়েছেন তিনি একবারেই ৪ রাউন্ড গুলী ছুঁড়েছেন।
এসআই নন্দদুলাল আরও জানান, তখন তারা সার্চ করে কোনো মাদকদ্রব্য পাননি, তবে গাড়ীতে একটি অস্ত্র ও কিছু কাগজপত্র পেয়েছেন। সিনহা রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তা জানানো হয় ওসি প্রদীপকে। এ সময় প্রদীপ বলেন, আমি না আসা পর্যন্ত তুমি (লিয়াকত) ওখানে থাকো, আমি আসছি। এর কিছু সময় পরেই ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে আসেন। প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে সিনহাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং সিনহার সঙ্গে থাকা সহকর্মী সিফাতকে নির্যাতন করেন। এছাড়া ওসি প্রদীপ সিনহার বুকের বাম পাশে লাত্থি মারেন এবং গলায় পা দিয়ে ধরেন। এসময়টুকুর মধ্যেই লিয়াকতের কাছে বার বার মেজর সিনহা পানি চেয়েছিলেন। নন্দদুলাল বলেন, ওসি প্রদীপ আনন্দের সঙ্গে জানিয়েছিলেন ‘শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলতে পেরেছি’। এছাড়া ওসি প্রদীপের কথামতই এজহারের সব কাগজ প্রস্তুত করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন একটাই, কি দ্বন্দ্ব ছিল মেজর সিনহার সঙ্গে ওসি প্রদীপের? যে কারণে সিনহাকে হত্যা করা হয়েছিল? তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরাও এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাচ্ছেন না।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে ৩ সাক্ষী কারাগারে: সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার আলোচিত তিন সাক্ষি রিমান্ডের প্রথম দিনেই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন আদালতে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ বিচারক তামান্না ফারাহর খাস কামরায় তারা জবানবন্দী দেন। জবানবন্দী দেওয়া তিন সাক্ষী হলেন– টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার ১২টার দিকে এই তিন আসামীকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। চার দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত দ্বিতীয় দফা তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু রিমান্ডের প্রথম দিনেই এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বীকার করেন তারা। এজন্য আজ (বুধবার) সাড়ে ১০টার দিকে তাদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। তারা আমাদের কাছে দেওয়া সব তথ্য আদালতে স্বীকার করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে আদালতে স্বীকারোক্তি শেষে এই তিনজনকে বিকালে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।’
প্রদীপকে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ: সিনহা রাশেদ হত্যার ঘটনায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান মিজানুর রহমান জানান, নির্ধারতি সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়া হবে। প্রায় সাত ঘণ্টা প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান মিজানুর রহমান জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। এর আগে, চার দফায় ১৫ দিন রিমান্ডে থাকায় প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি তদন্ত দল। এ কারণে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কয়েক দফা পেছানো হয়।
প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও তিনটি হত্যা মামলা : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে মুছা আকবর (৩৫) ও সাহাব উদ্দিন নামে দুই যুবককে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে একদিনে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে। নিহত মুছা আকবরের স্ত্রী শাহেনা আকতার ও সাহাব উদ্দীনের বড় ভাই হাফেজ আহামদ বাদী হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন। একটি মামলায় হোয়াইক্যং ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমানকে প্রধান ও প্রদীপ কুমার দাশকে ২নং আসামী এবং অন্য মামলায় এসআই দীপক বিশ্বাসকে প্রধান এবং ওসি প্রদীপকে ৩ নম্বর আসামী করা হয়। নিহত মুছা আকরের মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গ্যা ঘোনা নিহত মুছা আকবরের বড় ভাই আলী আকবরের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় টেকনাফ থানার একদল পুলিশ। এই ঘটনায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৮ মার্চ রাতে আবু মুছাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ক্রসফায়ার না দেওয়ার কথা বলে মুছার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু তিন লাখ দিতে সামর্থ্য হয় মুছার পরিবার। তিন লাখ টাকা নিয়েও ওই দিন ভোরে মুছা আকবরকে ক্রসফায়ারের নামে গুলী করে হত্যা করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী রিদুয়ান আলী বলেন, ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনায় থানায় এ সংক্রান্ত কোনও মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নিহত সাহাব উদ্দীনের মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল টেকনাফ থানার এসআই দীপক বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাহাব উদ্দীনকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ক্রসফায়ার না দেওয়ার কথা বলে তার পরিবার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু পরিবার ৫০ হাজার দেয়। কিন্তু আরও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় ২০ এপ্রিল রাতে কাঞ্জরপাড়া ধানক্ষেতে ক্রসফায়ারের নামে সাহাব উদ্দীনকে গুলী হত্যা করা হয়। এই মামলা বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহা আলম জানান, ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনায় এ সংক্রান্ত কোনও মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুই ভাইকে ক্রসফায়ার, প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা: এদিকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুই ভাইকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপসহ ১১ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নিহতের বোন রিনাত সোলতানা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশায়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমীর আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে নগরীর আনোয়ারা সার্কেলের এডিশনাল এসপিকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই ছোট ভাই আাজাদকে চন্দনাইশের কাঞ্চননগরের বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরের দিন চন্দনাইশ থানার সহায়তায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বড় ভাই ফারুককেও। পরে তাদের কাছে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। কিন্তু পরিবার দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ১৬ জুলাই তাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৮টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রদীপের স্ত্রী চুমকি আত্মগোপনে: চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামী সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণকে খুঁজছে দুদক। ওসি প্রদীপ এ মামলায় দ্বিতীয় আসামী। এ মামলায় ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার দেখাতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে দুদক। আর চুমকি কারণকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে সংস্থাটি। গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ বাদী হয়ে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন এতে বলা হয়েছে, তিনি স্বামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরপূর্বক একে অপরের সহযোগিতায় ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, দুদকের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন। তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামী চুমকি কারণ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে এমন আশঙ্কাও করছে দুদক। এ কারণে তার দেশত্যাগ ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওসি প্রদীপ সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন। সেই বিবরণী যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলীতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামী করে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

Please follow and like us:

Check Also

আলিপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়ার মোটর সাইকেল বহরে বোমা হামলা, ৫জন আহত

নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্ত্রাসী জনপদ আলিপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম জিয়ার মোটর সাইকেল বহরে বোমা হামলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।