সাতক্ষীরার ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বর ও চুলকানা-পাচড়া ॥ জ্বর হলেই করোনা নয় ॥ রেজিষ্ট্রাড চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরী

দেশে চলছে করনাকাল, মহামারী করোনার এই দুঃসময়ে ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। আর ভাইরাস জ্বরের কারনে আক্রান্ত ও তাদের পরিবারের মাঝে বিশেষ উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই বলে আশ্বস্থ করেছে যে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় কালে ছর্দি, কাশি এবং জ্বর হওয়া দীর্ঘদিনের চলমান প্রক্রিয়া, বিধায় আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই। সাতক্ষীরা শহর সহ মফস্বল এলাকাগুলোতে পক্ষকাল ব্যাপী ছর্দিজ্বর, কাশির প্রাদুর্ভাব বিদ্যমান। জ্বরের পাশাপাশি এলার্জি এবং চুলকানা, পাচড়ার প্রাদুর্ভাব ও লক্ষনীয়। দৃষ্টিপাতের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কোন কোন পরিবারে সকল সদস্যরাই জ্বরে আক্রান্ত। জ্বর হলেই করোনায় এবং আতঙ্কের সুযোগ নেই, তবে জ্বরকে কোন অবস্থাতেই অবহেলার সুযোগ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। অনেকে না জেনে বুঝে এক শ্রেণীর কথিত চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহন করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই কোন হাতুড়ে বা প্যাথ্র চিকিৎসক নয় নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল, সহ অন্যান্য সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। যদি সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে সুযোগ না হয় তাহলে রেজিষ্ট্রাড চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। বর্তমান সময়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া জ্বরের কারনে আক্রান্তদের শরীর দূর্বল করে দিচ্ছে। মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা কম নয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধাণত গলা ব্যাথা, সমস্ত শরীরে অসয্য যন্ত্রনা, একশত দুই তিনের অধিক জ্বর, স্বাদহীনতা, পাতলা পায়খানা, শ্বাস প্রশ্বাস এ প্রতিবন্ধকতা বিশেষ ভাবে লক্ষনীয়, বিধায় বর্তমানে চলমান আবহাওয়া জনিত কারনে ভাইরাস জ্বরের আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন এবং বাসাবাড়ীতেই অবস্থান করা শ্রেয়। সাতক্ষীরার ফাম্নেসীগুলোতে বর্তমান সময়ে জ্বরের ঔষধ ক্রয়ের দীর্ঘ লাইন যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরকে বিস্মিত করছে, এক শ্রেণীর ব্যক্তিরা যারা আক্রান্ত তারা নিজেরা অথবা অন্যকারোর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করছে যা স্বাস্থ্যঝুকি যেমন বৃদ্ধি করছে অনুরুপ ভাবে আক্রান্তদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা, বর্তমানের ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের কাহিল করছে। সর্বাপেক্ষা বিপদজনক এবং ঝুকিতে আছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। জ্বরের কারনে খাওয়ার প্রতি এক ধরনের অনীহা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু তাই বলে খাওয়া বন্ধ করা বা কম খাওয়া যাবে না। খাওয়া বন্ধ করলে বা কম খেলে শরীর আরও দুর্বল হবে এবং সহজেই অন্য যে কোন রোগ মানব দেহ কে আক্রান্ত করতে পারে। জ্বরের পাশাপাশি চুলকানা, পাচড়া এবং ঘা সংক্রমন কম নয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভিমত আবহাওয়া জনিত জ্বর, আর করোনা ভাইরাস যেন একাকার না করি। বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। কেবল সাতক্ষীরার নয় সারা দেশেই আবহাওয়া জনিত ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব, আমরা সচেতন হব, স্বাস্থ্যবিধি মানব, করোনা ঝুকি এড়াতে সামাজিক ও শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখব মাস্ক ব্যবহার করবো।

Check Also

আশাশুনিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

এস, এম মোস্তাফিজুর রহমান ॥ আশাশুনিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।