‘একে অপরকে সহযোগিতা করলে এই সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারব’

আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করলে এই সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, একজন ব্যক্তি যদি ব্যর্থ হয়, পুরো দলটাই ব্যর্থ হয়। সেই কারণে কাউকে ব্যর্থ না করে যদি সবাই একজন আরেকজনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করি, তাহলে আমরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে এই সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারব।

শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে নিজের অফিসে ঢাকা জেলা কৃষক দলের এক প্রতিনিধি সভায় দলের বিভেদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে ‘ঘরোয়া খেলা’ বন্ধ না হলে সরকার হটানোর আন্দোলনে সফলতা আসবে না।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে দল গঠন করেছিলেন, তার সেই রেখে যাওয়া দল ৪২ বছর পর মানসিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড, সাংগঠনিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড। অর্থাৎ দল আছে, কারো সাথে কারো মিল নাই।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরো বলেন, আমাদের কারো সাথে কারো যদি মিল না হয়, তাহলে কর্মফল আদায় করা যায় না। যদি যেত তাহলে আমরা ১২ বছর রাস্তায় থাকি না। ১২ বছর লাগার কথা না। বাংলাদেশের সিংহভাগ লোক বিএনপিকে পছন্দ করে, যে দল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল, সেই দল পরনির্ভরশীল একটা সরকারকে কিছুই করতে পারতেছে না। বরং তারা (ক্ষমতাসীন) ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় কথা বলে। এটা আপনাদের সহ্য করতে ভালো লাগে? এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরেরে মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বাড়িয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার আহ্বান জানান তিনি।

সবার মতামত নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন গয়েশ্বর।

কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক নাজিমউদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, সহসভাপতি তমিজউদ্দিন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা মোজাদ্দেদ আলী বাবু ও আবদুল মান্নান রতন, কৃষক দলের শরীফুল ইসলাম মোল্লা, মেহেদি হাসান পলাশ, এম জাহাঙ্গীর আলম, মীর মোমিনুর রহমান সুজন উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।