বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর): করোনার কারণে সাড়ে সাত মাস বন্ধ ছিল সুন্দরবনের কলাগাছিয়াসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থানগুলো ছিল পর্যটকশূন্য। তবে আবারও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম এলাকা।
পর্যটকদের বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে সুন্দরবন এলাকা। শীতের আগমনে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাস সংগ্রহ। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম এলাকা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। বনের প্রাণিদের সাথে জমে উঠছে পর্যটকদের ভাব। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম এলাকায় ভ্রমণ করতে আসছেন পর্যটকরা। বেশ কিছুদিন সুন্দরবন এলাকা ভ্রমণ বন্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে সুন্দরবন এলাকার প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়ায় পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ এলাকা এখন পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছে অবারিত দুয়ার।
বুড়িগোয়ালিনী ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য জামাল হোসেনসহ কয়েকজন ট্রলার মালিক বলেন, সাড়ে সাত মাস পর পর্যটকদের দেখা পেয়েছেন। তবে সুন্দরবনের দ্বার উন্মুক্ত করা হলেও পর্যটকদের আনাগোনা এখনো আগের মতো শুরু হয়নি। গতবছর করোনার প্রভাবে আমাদের ট্যুরিস্ট ব্যবসা মরে গিয়েছিল। এবছর নতুন করে শীত আশায় আস্তে আস্তে পর্যটক আসা শুরু করেছে। বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনে শুক্রবার সকাল থেকে ১৮টি ট্রলারের পাস দেওয়া হয় বলে জানায় বন বিভাগ।