সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পূর্বের কমিটি বলাহ: আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পারিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ডা. রুহুল হক এমপি বলেন, ‘যারা ভাস্কর্য ভাঙে, তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ^াসী নয়, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের প্রতিহত করতে হবে’। তিনি বলেন, আমরা এক হয়ে তাদের প্রতিহত করবো। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা সবাই মিলে সাতক্ষীরার উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিবো। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সঞ্চালনায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, এড. আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক এড অরুন ব্যানার্জী, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, দেশ টিভির শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দৈনিক পত্রদূতের লায়লা পারভিন সেঁজুতি, মানবজমিনের ইয়ারব হোসেন, বনিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, চ্যানেল ২৪ এর আমেনা বিলকিস ময়না, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও মো: আব্দুল বারী, সাবেক সহ-সভাপতি কালিদাস রায়, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাশেম, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, দৈনিক অর্থনীতির ফরিদ আহমেদ ময়না প্রমুখ সাংবাদিক। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়। এতে অংশ নেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে। এর লাল সবুজ পতাকা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে উড়িয়েছেন। এই ভূখন্ডে ধর্মনিরপেক্ষতা চিরস্থায়ী থাকবে। এখানে হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান বৌদ্ধ জৈন সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে বসবাস করবে এবং তারা বলবেন আমরা বাঙালি। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন স্মৃতি এবং বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরে সাংবাদিক বক্তারা বলেন, আজকের নতুন প্রজন্মকে এসব ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের কোন বিকৃত ও কল্পিত ইতিহাসে যেন তারা মনোযোগী না হয় এমনটি উল্লেখ করে তারা বলেন, শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সেদিন এদেশের মানুষ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আগামী দিনগুলিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে। একাত্তরের পরাজিতদের প্রতিহত করতে হবে। তারা মৌলবাদের আশ্রয় নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এদেশ কারও করুণায় স্বাধীনতা লাভ করেনি। ৩০ লাখ মানুষের রক্ত আর ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়ে এদেশের দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে এনেছিল মহান স্বাধীনতা। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ছিল সেই স্বাধীনতার চূড়ান্ত অর্জন। এদিন ৯৫ হাজার পাক সেনা মাথা নত করে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পন করে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। এই দিনটিকে তাই সবসময় স্মারকে আলোচনায় রাখতে হবে এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আরও শাণিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী বলেন, রক্ত দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। এতে কালিমা লেপন করতে দেওয়া হবে না। সিনিয়র সাংবাদিক অরুন ব্যানার্জী বলেন, মহান বিজয় দিবস একদিনে আসেনি। নানা সংগ্রাম আন্দোলন ও আত্মহুতির পর আমরা দিবসটি পেয়েছিলাম। সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিজয়ের ৪৯ বছর পরও মাথাচাড়া দেওয়া স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী বলেন, বাঙালির ঠিকানা এখনও পদ্মা মেঘনা যমুনা। এই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের মূলোৎপাটন করবে।

Please follow and like us:

Check Also

চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগ এর বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশনায় তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও SDG অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১০ দিনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।