সাত খুনের মামলায় অস্ত্র আইনে নূর হোসেনের যাবজ্জীবন

ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনকে অস্ত্র আইনের আরও একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। এ সময় একই আদালত আরেকটি চাঁদাবাজি মামলায় তাকে খালাস দিয়েছেন।

নূর হোসেনের উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন পৃথক দুটি মামলায় রায় ঘোষণা করেন।

এর সত্যতা নিশ্চিত করেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমদ।

তিনি বলেন, সাত খুনের পর নূর হোসেনের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে অস্ত্রগুলো জমা দিতে বলেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু নূর হোসেন সেই অস্ত্রগুলো নির্ধারিত সময়ে জমা দেননি।

পরে পুলিশ রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করে। ওই মামলায় আদালত ছয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

তিনি আরও বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেছেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছয় মামলার মধ্যে ২০১৪ সালে সাত খুনের পর নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৪ সালের ১২ জুন ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলামের মামলায় নূর হোসেন, তার ভাই নূর উদ্দিন, তাদের ভাতিজা শাহজালাল বাদল, লোকমানসহ চারজনকে আসামি করা হয়।

শিমরাইলে নূর হোসেনের মাদক স্পট থেকে ২৯০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের এসআই শওকত হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

সাত খুনের পর নূর হোসেনের বৈধ অস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিল করে জেলা প্রশাসন। সেটি জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেটি জমা না দিয়ে নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়।

Please follow and like us:

Check Also

ঈদে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পারায় দিনমজুর স্বামীর আত্মহত্যা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পেরে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।