আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে দিহানের স্বীকারোক্তি

ক্রাইমবাতা রিপোট:   রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রী আনুশকাহকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

শুক্রবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেট দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন

বৃহস্পতিবার রাতে কলাবাগান থানায় আনুশকাহর বাবার করা মামলায় শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দিহানকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেয় পুলিশ। আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান।কিন্তু দিহান দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আর তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।

নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান জানিয়েছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টা করা হবে। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে।

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর নাম আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টার মাইন্ডের ‘ও লেভেল’-এর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু দিহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, মেয়েটির শরীরের ওপরের দিকে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার বন্ধু দিহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে তার দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকাহর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে।

পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়  বলেন, ওই বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান  বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।যুগান্তর।

Check Also

শ্যামনগরের উপকূলে  প্রতিবন্ধীদের মাঝে  ফুড প্যাক বিতরণ

গাজী বায়েজিদ হোসেন:পদ্মপুকুর ইউনিয়ন প্রতিনিধ। শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ও গাবুরা এবং কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী উপকূলীয় এলাকায়  …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।