প্রকাশক দীপন হত্যা ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আট সদস্যর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় মামলার আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুরু থেকেই বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার জাকির বলেছিলেন, ‘জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়েছে। রায়ে আট আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। কোনো সাক্ষী আসামিরা মামলার সঙ্গে জড়িত- এমন কথা বলেনি।

রায়ে আসামিরা খালাস পাবেন এই প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১শে অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে আক্রান্ত হন দীপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। মামলার আট আসামি হলেন- বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

Please follow and like us:

Check Also

অনিশ্চয়তার নতুন যুগে মধ্যপ্রাচ্য

ইউক্রেন-রাশিয়া রেশ কাটতে না কাটতেই ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু হয় ইসরাইলি আগ্রাসন। এরপর থেকে অশান্ত হতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।