৬৫ হাজার ৪০টি পরিবারকে ঘর দেয়া হচ্ছে

সরকারের পদক্ষেপে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বাঘের সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সংসদ নেতা আরও জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। সারা দেশে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে ‘মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই’ কথাটি চিরতরে বিলুপ্ত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সব সময় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর। যে কারণে দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বৃক্ষাদি এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা তথা বন অপরাধ দমনে স্মার্ট পেট্রোলিংসহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এই সংখ্যা ১১৪টি পাওয়া গেছে। সুন্দরবনের কার্বন মজুতের পরিমাণ ২০০৯ সালের ১০৬ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।’

সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীকুলকে রক্ষার জন্য বনকর্মীদের যুগোপযোগী করে তুলে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির পদক্ষেপের কথাও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনের প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্যের অন্তর্ভুক্ত।’

আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি। আর জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার রয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি। ‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না’ এ ঘোষণা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি ৬৫ হাজার ৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুন

Please follow and like us:

Check Also

আবুল কাশেম কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি,তাই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করতেন: সাতক্ষীরায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।