আমাদের সমাজ সভ্যতা ও আধুনিকতা -বিলাল মাহিনী

এক কালে বাঙালি সমাজে ধনের প্রাচুর্য না থাকলেও মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা ছিলো। মানুষের প্রতি মানুষের হৃদ্যতা, সহানুভূতি, ভালোবাসা ছিলো সীমাহীন। ছিলো না জাতিভেদ, ধর্ম-বর্ণে ভেদাভেদ। এই একবিংশ শতাব্দির স্বল্প কিছুকাল পূর্বেও মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ, শ্রদ্ধা-স্নেহ ও বিবেকের জাগ্রত প্রাণ শক্তি আমাদের তথা বাংলাদেশের সমাজ সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন ছিলো। ছিলো আধুনিকতা। তবে আজকের আধুনিকতার দৃশ্যমান যে চল দেখতে পওয়া যাচ্ছে, তার চেয়ে ঢের ভালো ছিলো তখনকার আধুনিকতা। সে আধুনিকতায় শালীনতা ছিলো। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ছিলো নান্দনিকতা ও রস। সামাজিক আচার-ব্যবহার, লেনদেনে মানুষের সত্তার পরিচয় পাওয়া যেতো। এখনকার আধুনিকতা নিরস-নিষ্প্রাণ। উপরের অবয়বে চাকচিক্য আছে, চোখ ধাঁধানো দৃশ্যপট আছে; কিন্তু নেই সমাজ বাস্তবতা।
আমাদের বর্তমান পূর্ণদৈর্ঘ্য বা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র অথবা নাটক-শর্টফ্লিম বা মিউজিক ভিডিওতে যা দেখানো হয় তার সাথে সমাজ বাস্তবতার কতটুকু মিল রয়েছে; সমাজ সচেতন প্রতিটি মানুষ তা ভালো করে জানেন। অথচ, আমরা জানি- চলচিত্র বা শিল্প-সাহিত্যে সমাজের বাস্তবতাকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। বর্তমানে আসলে কী তা হচ্ছে?

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, সভ্যতা (ইংরেজি: Civilization) হল কোনো জটিল সমাজব্যবস্থা যা নগরায়ন, সামাজিক স্তরবিন্যাস, প্রতীকী যোগাযোগ প্রণালী (উদাহরণস্বরূপ, লিখন পদ্ধতি), উপলব্ধ স্বতন্ত্র পরিচয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণের মত গুণাবলি দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। যেগুলোর উপর সভ্যতা নির্ভরশীল, সেগুলো হল- কেন্দ্রীকরণ, মানুষ এবং অন্যান্য জীবের আবাসন, শ্রমের বিশেষায়িতকরণ, সাংস্কৃতিকভাবে সৃষ্ট উন্নয়ন আদর্শ, আধিপত্য স্থাপন, ভাস্কর্যের অনুরূপ স্থাপত্য, কর বা খাজনা আরোপ, কৃষির উপর সামাজিক নির্ভরশীলতা, এবং সম্প্রসারণের প্রবণতা।

সভ্যতার নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং জীবনব্যবস্থা ও আত্মরক্ষার নিজস্ব পদ্ধতি থাকে। অধিকাংশ সভ্যতারই নিজস্ব কৃষিব্যবস্থা এবং রাজতন্ত্র বা নির্বাচন ব্যবস্থার ন্যায় সরকারপদ্ধতি রয়েছে। তারা একটি সাধারণ ভাষায় কথা বলে, এবং তাদের নিজস্ব ধর্ম ও শিক্ষাব্যবস্থাও থাকে। যখন কোন স্থানের মানুষ সভ্য হয়, তখন তারা কোন ছোট গোত্র বা যৌথ পরিবারের মত দলে নয় বরং নগরীর ন্যায় একটি বৃহৎ সুসংগঠিত আকারের দলে একত্রে বসবাস করে।

বাঙালি সভ্যতার ব্যাপ্তি উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ‘সাংস্কৃতিক ঘাটতি ও প্রগতির অন্ধকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, চার হাজার বছরের পুরনো বাঙালি সভ্যতা বিশ্বের বুকে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উদাহরণ।

বাঙালি জাতি একটি সংকর জাতি ও দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী আদিতম মানবগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে একটি। প্রায় ১৫০০ বছর আগে আর্য-অনার্য মিশ্রিত প্রাকৃত ভাষা থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক বাংলা ভাষা এবং ব্রাহ্মী লিপি থেকে সিদ্ধম লিপির মাধ্যমে আধুনিক বাংলা লিপির সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং আমাদের সমাজ, সভ্যতা, ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, তাহযিব-তমদ্দুন দীর্ঘ ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং নিজস্ব।

বাঙালির সমাজ, সভ্যতা ও জীবনাচরণ নিয়ে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ লিখেছেন, বাংলাদেশ চিরকাল মধ্যপন্থায় বিশ্বাস করে। মধ্যযুগে শ্রীচৈতন্যের সময় থেকেই হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ই মধ্যপথ অবলম্বন করে আসছে। এশিয়ায় প্রবর্তিত সব প্রধান ধর্মই মধ্যপথের কথা বলে। মধ্যপথ পরমতসহিষ্ণু। উগ্র প্রতিক্রিয়াশীলতা বা ধর্মান্ধতা এবং উগ্র প্রগতিশীলতা বাঙালি সমাজ সব সময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
যেকোনো সমাজের মতো বাঙালি সমাজেও রক্ষণশীল, প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীলদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বহুকাল থেকেই ছিলো। সব রকম সংকীর্ণতামুক্ত খুবই উদার মানুষ যেমন আমাদের সমাজে সব সময় ছিলেন, তেমনি ধর্মীয় ব্যাপারে অতি অসহিষ্ণু ও সংকীর্ণ মানুষও ছিলেন অগণিত। ধর্মের নামে তুচ্ছ ব্যাপারে হাতাহাতি-মারামারি মাঝেমধ্যে হয়েছে প্রত্যন্ত পল্লীতে। সেটা হয়েছে স্বধর্মাবলম্বীর মধ্যেই, ভিন্নধর্মাবলম্বীর সঙ্গে নয়। ভিন্নধর্মাবলম্বীর সঙ্গে হয়েছে শুধু মসজিদের সামনে নামাজের সময় বাদ্য বাজানো এবং রাস্তাঘাটে গরু জবাই করা নিয়ে। সেসবও অতি অল্প সময়ের জন্য। ..দুদিন পরেই মিটে গেছে।

আমরা দেখেছি, সেই মধ্যযুগে ইউরোপে যখন খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা রক্তারক্তি করেছে, তখন বাঙালি সাধক-কবি ঘোষণা করেছেন: ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ এর চেয়ে বড় কথা আর কী হতে পারে? বাঙালির নিজস্ব জিনিস প্রেমধর্ম। বাঙালি প্রেমধর্ম কোনো বিশেষ শিক্ষকের কাছে শেখেনি, তারা তা এই মাটির থেকেই শিখেছে। এ দেশের মাটি নরম, মানুষের মনও নরম। প্রেমধর্ম জিনিসটাই নরম জিনিস, শক্ত কিছু নয় উগ্রতা তো নয়ই। যদিও এই বাংলার মাটিতেই কিছু দুর্বৃত্ত ও নীতিবোধহীন দুশ্চরিত্র মানুষ চিরকাল ছিল। সধারণ মানুষই তাদের শায়েস্তা করেছে।

বাংলা সাহিত্যে-সংস্কৃতিতে এক সময় রাজত্ব ছিলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তাদের সৃজিত সে সাহিত্য গন্থিতে বঞ্চিত থেকে যেতো তৎকালীন বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের কথা। অথচ বাঙালি মুসলিমদেরও রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাবধারা। মুসলিমদের প্রতিটি রচনায় যে যতœ নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে হিন্দু জনগোষ্ঠীর কথা, তেমন দরদ নিয়ে কবি কাজী নজরুলের আগে আর কেউ মুসলমান সমাজজীবনের কাহিনী রচনায় এগিয়ে আসেননি। এ প্রসঙ্গে কথা সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ লিখেছেন : ‘নজরুল ইসলামের আকস্মিক আবির্ভাব মুসলিম সমাজ-মনকে আলোড়িত করতে পেরেছে। মুসলমানের বিবেচনায় মানব-জীবনের সুখ-দুঃখ আলো-আঁধার হাসি-কান্না, তাদের দেবত্ব-পশুত্ব, তাদের হীনতা-ক্ষুদ্রতা তাদের সংগ্রাম-সাধনা, এ সবই সাহিত্যেও বুনিয়াদ এবং নজরুল ইসলাম এই জীবনকে কেন্দ্র করেই সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন।’

এই বাংলায় সর্বপ্রাণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে ধর্ম-মত-পথ যাইহোক না কেনো; বাঙালি সমাজে ধূর্ততা, মিথ্যা, প্রবঞ্চনা ছিলো না। মানুষ অপর মানুষকে ঠকানো বুঝতো না। অথচ, উত্তর আধুনিক বাঙালি মনে সত্যের সওগাত অন্তঃসার শুণ্য। বিবেক গেছে পচে।
এতোদিন যে বিষয়গুলোকে ঘুষ বলে জেনেছি তা কোথাও হয়ে উঠছে ‘স্পিড মানি’, কোথাও হয়ে উঠছে ‘হাত খরচ’। ন্যায়-অন্যায় বোধের দোলাচলে এখন আমরা এতটাই দ্বিধান্বিত যে, আলো কোনটা আর অন্ধকার কোনটা তা বোঝা আমাদের জন্য কষ্টকর। মানব জীবনের অদ্ভুত এক দিক হলো আমাদের প্রত্যেকের নীতি নৈতিকতা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। শৈশব ও কৈশোরে আমরা যে আর্দশকে লালন করে বেড়ে উঠি, কঠিন বাস্তবতা প্রতিনিয়ত তার পরীক্ষা নেয়। এ যেন ভেঙে গড়ার এক অদ্ভুত খেলা। আমাদের বিত্তশালীদের সন্তানেরা ভিনদেশী সভ্যতায় লালিত হয়। এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক-শ্রমিকের খাজন-ট্যাক্সের টাকা ও বা-হাতের উপরি ইনকামে চলে তাদের আয়েশী জীবন।
কিছু মসজিদ মন্দির আর গির্জায় বাঙালির সামাজিক মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, ঐতিহ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতির ঐতিহাসিক গুণ মানব প্রেমের বদলে চাষ হয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের, আর রাজনীতির নামে চলে অর্থ সংগ্রহের মহা উৎসব। এ কারণে আমাদের তরুণ তরুণীরা বলিউড-ঢালিউড স্টারদের তাদের রোল মডেল বানিয়ে ফেলেছে আর টিকটক স্টার হয়ে সারা বিশ্বে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে আত্মতুষ্টির ঢেঁকুর তুলছে।
আমাদের পরিবার ছিলো আগে প্রতিটি শিশুর নৈতিকতা শেখার সুতিকাগার কিন্তু সেখানে আমাদের শিশুরা এখন শিখছে শুধুই প্রতিযোগিতা। অন্ধভাবে অনুসরণ করতে করতে আমাদের শিশুরা আজকে শুধু ছুটেই চলেছে, জীবনকে অনুধাবন করা বা উচ্চতর বিষয়ে চিন্তা করার অনাবিল আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত। পারিবারিক আবহে, ধর্মীয় মূল্যবোধ, বিশ্বাস; এগুলো যেনো দিন দিন মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। নীতি-নৈতিকতা এখন ভাগাড়ে পণ্য। এদেশে এক সময় ভোর বেলা গ্রামের মহল্লায় মহল্লায় কুরআন শিক্ষার আসর বসতো। কুরআনের সুমধুর সুরে বিমোহিত হতো মানব হৃদয়। ভোরের বাতাস মানুষের হৃদয়-মনকে পুত-পবিত্র করতো। হিংসা-দ্বেষ দূরীভূত হতো। পারিবারিক ও সামাজিক শিষ্টাচারের মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠতো শিশু। রমজানের রাতে তারাবি পড়ার হিড়িক পড়তো, দল বেঁধে ছুটতো সালাতে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের নিবেদন :
‘তারাবি নামাজ পড়িতে যাইব মোল্লা বাড়িতে আজ,
মেনাজদ্দীন, কলিমদ্দীন, আয় তোরা করি সাজ। (তারাবি, মাটির কান্না কাব্যগ্রন্থ)
তবে বাঙালি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যে গোড়ামিমুক্ত ও উদার মধ্যপন্থী, তার প্রমাণ তারা প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ নারী নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ইসলামি রাজনীতিক ও মৌলবাদীরা অনবরত নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বললেও মানুষ তা শোনেনি। আবার জাতীয় কবির (ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ…) গানের সুরে দলে দলে ঈদের সালাত আদায়ে অংশ নেয়।

শেষ কথা : আজকের সমাজ বাস্তবতা আমাদের ভাবায়। মারাত্মক ব্যথিত করে। কেননা, আধুনিক বিশ্বের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- রাষ্ট্রনীতিতে উদার মতবাদ, অর্থনীতিতে অবাদ বাণিজ্য (যার ফলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পায় জনগণ, বৈধ-অবৈধের তোয়াক্কা করে না এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী), ধর্মের বিষয়ে সন্দেহবাদ, বৈজ্ঞানিক ক্রমবিকাশবাদে বিশ্বাস, দর্শনে নাস্কিকতামূলক আদর্শের প্রাধান্য, ব্যষ্টি ও সমাজ জীবনের যান্ত্রিক সভ্যতার প্রাধান্য। তাই এ যুগের মানুষের জীবনাচরণ ও সাহিত্য-সংস্কৃতি-সভ্যতা গড়ে উঠে হয় এসব মতবাদকে সমর্থন করে, না-হয় এ সবের প্রতিবাদ করে।

প্রকৃতপক্ষে, আমরা আমাদের ঐতিহাসিক সমাজ বাস্তবতা, উদারতা, অহিংস নীতি, নিজস্ব ধর্ম-সংস্কৃতি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংগীত, গণতন্ত্র-গণঅধিকার; এগুলোর কোথাও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সু-শাসনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না। তাই আসুন, আমাদের যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। একটি মানবিক ও কল্যান রাষ্ট হোক আমার বাংলাদেশ; এই প্রত্যাশায়।

বিলাল মাহিনী / পরীক্ষক : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা, প্রতিষ্ঠাতা ও  নির্বাহী সম্পাদক : সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগার ও ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র, অভয়নগর, যশোর । নির্বাহী সম্পাদক- ট্রু নিউজ২৪.নেট, যুগ্ম সম্পাদক- ভৈরব-চিত্রা রিপোর্টার্স ইউনিটি। কাজের ক্ষেত্র : কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা।

Check Also

বেড়িবাঁধ কেটে নোনাপানি ঢুকিয়ে ঘের ব্যবসা

সুন্দরবন–সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলায় যত্রতত্র বেড়িবাঁধ কেটে ও ছিদ্র করে পাইপ দিয়ে নোনাপানি উঠিয়ে চলছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।