সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার রায় দ্রুত বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার নির্দেশদাতা ও হামলায় অংশগ্রহণকারীদের নিম্ন আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত  বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের  আয়োজনে  এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
দ্রুত মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার চাই ও শাস্তি কার্যকরের দাবী জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে  বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম,  জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সদর সাংসদ, সহ সভাপতি  অধ্যক্ষ আবু আহমেদ,  শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, মো. আসাদুজ্জামান বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ,  শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য  এসএম শওকত হোসেন,  শেখ নাসেরুল হক, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্,  সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোজহার হোসেন কান্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মো. শাহ্জাহান আলী, আসাদুজ্জামান অসলে,  মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান,  ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি খালিদ হোসেন  নয়নসহ আওয়ামী লীগ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ।
এসময় বক্তরা বলেন, ২০০২ সালের এই দিনে কলারোয়ায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী  ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়।
 দীর্ঘ ১৮ বছর পার হলেও দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫০ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হলেও
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিস্ফোরক ও অস্ত্র সংক্রান্ত দুটি এসটিসি মামলার আজও বিচার সম্পন্ন হয়নি। এটি আমাদের জন্য অনেক বেদনার অনেক কষ্টের।
বক্তরা আরও বলেন, তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে এসে সান্ত¡না দিয়ে ঢাকায় ফেরার পথিমধ্যে কলারোয়া বাজারের বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে তার প্রাণনাশের চেষ্টায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে মারা হয়।
 এ সময় তাঁর নিরাপত্তা কর্মীরা শেখ হাসিনাকে গাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে নিলেও হামলার তান্ডব চলতে থাকে। এতে শেখ হাসিনা শারিরীকভাবে অক্ষত থাকলেও তার সফরসঙ্গী নেতা কর্মীরা আহত হন। কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মোসলেম উদ্দিন (প্রয়াত) কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন।
 একই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলার বিচার সম্পন্ন হলেও অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনে এসটিসি ২০৭/১৫ ও এসটিসি ২০৮/১৫ মামলা দু’টি সাতক্ষীরা স্পেশাল ট্রাইবুনাল তৃতীয় আদালতে বিচারাধীন। দ্রুত মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার চাই ও শাস্তি কার্যকরের দাবী জানান বক্তরা।
Please follow and like us:

Check Also

ঈদে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পারায় দিনমজুর স্বামীর আত্মহত্যা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর জন্য মাংস কিনতে না পেরে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী (২৬) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।