আশাশুনির প্রতাপনগরে রিং বাঁধ ভেঙ্গে দশ হাজার মানুষ পানিবন্দী

আবু সাইদ বিশ্বাস: সাতক্ষীরা: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে সুরক্ষা বাঁধ (রিং বাঁধ) ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আবারো পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের হরিষখালী গ্রামের মানিক হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে রিং বাঁধ ধ্বসে এলাকা প্লাবিত হয়েগেছে। এখনো পর্যন্ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গত কয়েকদিন পুর্ণিমা তীথিতে নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রিভার সাইটের অধিকাংশ মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে। প্রতাপনগরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে সুরক্ষার জন্য রিং বাঁধে পানির চাপ ধরে রাখতে পারবে কিনা এনিয়ে এলাকাবাসীর মনে শঙ্কা বিরাজ করছিল। তাদের শঙ্কা সত্যিতে পরিণত হলো । শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে হয়ে দেখতে পায় রিং বাঁধের বড় একটি অংশ ধ্বসে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে আনুমানিক ৫০ ফিট মত রিংবাঁধ ধ্বসে তীব্র গতিতে পানি ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফলে প্রতাপনগর পূর্ব, প্রতাপনগর পশ্চিম ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম লবণ পানিতে প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় মানিক হাওলাদার জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেলে হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে রিং বাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বার মাসের ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রিং বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়েছিল। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে কোন রকম সংস্কারের দু’মাসের মাথায় রিং বাঁধটি দ্বিতীয় বারের মতো ভেঙ্গে গেল।
মসজিদের ইমাম হাফেজ বাবুল হোসেন বলেন, আম্পানের পর দীর্ঘ ১০ মাস জোয়ার-ভাটা ওঠানামা করায় অধিকাংশ জমিতে খালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তা নির্মাণে মাটির সংকট দেখা দেওয়ায় অধিকাংশ রিং বাঁধ বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে বালির তৈরি রিং বাঁধ টিকতে না পেরে ধসে পড়ছে।

Please follow and like us:

Check Also

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক পেলেন

সুন্দরবনাঞ্চল (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।