সতর্ক থাকার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসব মুখর পরিবেশে দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে এই নির্বাচনে কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা দুঃখজনক।

তিনি সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজমান, তা ধরে রাখতে সবাইকে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

শুক্রবার তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তিনি রাজনীতি কিংবা প্রশাসনের যেই-ই হোন তার কোনো দায়িত্বহীন বক্তব্য সমীচীন নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে চলেছেন। রাজনীতিবীদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, মন্তব্য করেছেন, যা মোটেই শোভন নয়।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছে, আচরণবিধি আছে। সকলের এ সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে সকলকে বক্তব্য দেয়া বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিমন্ডল বিবেচনা করা তথা সীমারেখা মেনে চলার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কারো কারো অতিউৎসাহী এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়।’

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি তারা সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনো বুঝতে পারছে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল হবে।
বিএনপি মহাসচিব সেই পুরনো ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন আর বলছেন, বিচার ব্যবস্থা নাকি দলীয়করণ করা হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের সমালোচনার এসব পুরনো হাতিয়ার এখন ভোঁতা হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এসব বিএনপির ধারাবাহিক কল্পিত অভিযোগের চর্বিত-চর্বন মাত্র।

দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিচারের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে তারা বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। আর বিপক্ষে গেলে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা তাদের পুরনো অভ্যাস। তিনি বলেন, বিএনপির নীতি হচ্ছে, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরো বেশি ভোটে জয়ী হতে পারতো, আর হারলে বলে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ কমিশন মানে হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের গ্যারান্টি প্রদান।

সূত্র : বাসস

Please follow and like us:

Check Also

অনিশ্চয়তার নতুন যুগে মধ্যপ্রাচ্য

ইউক্রেন-রাশিয়া রেশ কাটতে না কাটতেই ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু হয় ইসরাইলি আগ্রাসন। এরপর থেকে অশান্ত হতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।