পাটকেলঘাটা-তালা সড়ক ভেঙে পড়ছে মরা গাছের ডাল

এ সম্পর্কে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান বলেন, সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের দুই ধারের বড় বড় শিশু ও রেইনট্রিগাছও শুকিয়ে গেছে। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সড়কে যাতায়াত করছে।

কেবল পাটকেলঘাটা-তালা সড়কের দুই ধারের গাছ নয়, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার শিশু ও রেইনট্রিগাছ মারা যাচ্ছে। এ সম্পর্কে বন বিভাগের তালা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, গাছের মূলে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়েছে। ফলে গাছ দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে গবেষণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও রেইনট্রিগাছ না লাগাতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

তালার পাটকেলঘাটা এলাকার হামজা আলী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। তিনি এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন একাধিকবার চলাচল করেন। হামজা আলী বলেন, ‘চলাচল করার সময় মনে ভয় কাজ করে, কখন গাছ ভেঙে পড়ে।’ একই কথা বলেন ইসলামকাটি এলাকার মধুসূদন বোস। তিনি বলেন, ব্যবস্থার কারণে প্রতিদিন সাতক্ষীরায় যেতে হয়। সড়কের দুই ধারে অসংখ্য গাছ শুকিয়ে এমন অবস্থা হয়ে হয়েছে, সামান্য বাতাসেও ডাল ভেঙে পড়ে। সবাই ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে।

তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোলাম ফারুক বলেন, সড়কের দুই ধারের কয়েক শ গাছ এক বছরের বেশি সময় ধরে শুকিয়ে রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জেলা শহরের অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালে যাতায়াত করে থাকেন। শুকিয়ে যাওয়া গাছ অপসারণ না করায় মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তিনি দ্রুততম সময়ে মধ্যে গাছগুলো অপসারণের দাবি জানান।

তালার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, তালা-ইসলামকাটি-পাটকেলঘাটা সড়কের দুই ধারের অনেকগুলো গাছ শুকিয়ে গেছে। তিনি যাতায়াতের সময় গাছগুলো দেখে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, পাটকেলঘাটা-তালা সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জেলা পরিষদের। অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ছে। সড়কের প্রায় ৯৫০ গাছ রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক শিশু ও রেইনট্রিগাছ শুকিয়ে গেছে। গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:

Check Also

কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যা বললেন ডিবির হারুন

ভুয়া সনদ সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।