সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেল নজরুল ইসলাম

আবু সাইদ বিশ্বাস,  ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেল  পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম। তার প্রতিক ছিল মোটরসাইকেল। তিনি পেয়েছেন ৫৮৮ ভোট।তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী  এম খলিলুল্লাহ ঝড়– পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে টেলিফোনে প্রাপ্ত ফলাফল অনুয়ায়ী জানা গেছে, আশাশুনিতে মো.নজরুল ইসলাম ৮৮ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৫৮ ভোট, তালায় মো.নজরুল ইসলাম ১০৫ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৫৪ ভোট, কলারোয়ায় মো.নজরুল ইসলাম ৯৪ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৭৮ ভোট,আশাশুনিতে মো.নজরুল ইসলাম ৮৮ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৫৮ ভোট,দেবহাটায় মো.নজরুল ইসলাম ১৮ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৫৫ ভোট,শ্যামনগরে মো.নজরুল ইসলাম ৯১ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৬৪ ভোট,কালিগঞ্জে মো.নজরুল ইসলাম ৯৬ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৬৩ ভোট,সাতক্ষীরা সদরে মো.নজরুল ইসলাম ১১৬ ভোট, খলিলুল্লাহ ঝড়– ৮০ ভোট। অবশেষে ক্রাইমবাতা নিউজ পোর্টালৈর সেই রিপোট সত্য হলো।

এদিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে মাহফুজা সুলতানা রুবি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকেয়া মোসলেম পেয়েছেন ১শ’৫১ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে অ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি ১শ’ ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুন্নাহার মুন্নি পেয়েছেন ১শ’১৭ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে শিল্পী রানী মহালদার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১শ’৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোজিনা পারভীন পেয়েছেন ৯৮ ভোট ।
এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (তালা) ইন্দ্রজিত দাস বাপী ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মীর জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩৫ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে (কলারোয়া) আমজাদ হোসেন ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান গাজী পেয়েছেন ৪৪ ভোট। ,৩নং ওয়ার্ডে (সদর) সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৩০ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে (দেবহাটা) নজরুল ইসলাম ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আল ফেরদাউস আলফা পেয়েছেন ৬১ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে (কালিগঞ্জ) শেখ ফিরোজ কবির ১শ’ ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল হক পেয়েছেন ২৪ ভোট। ,৬নং ওয়ার্ডে (আশাশুনি) আব্দুল হাকিম ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মহিতুর রহমান পেয়েছেন ৪৫ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে (শ্যামনগর) গোলাম মোস্তফা বাংলা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদুর রহমান পেয়েছেন ৬১ ভোট।
উল্লেখ্য,সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরার ১২টি কেন্দ্রে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে ১০৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১০৫৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

গতকাল প্রকাশিত সেই রিপোট—

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেতে যাচ্ছে  নজরুল ইসলাম

ক্রাইমবাতা রিপোট:  ১৬/১০/২০২২

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেতে যাচ্ছে  পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম। তিনি ৬৫% ভোটারের সমর্থন নিয়ে পূনরায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নিবাচিত হতে চলেছে। সম্প্রতি এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। একশ ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্র জানায়। চারিদিকে নির্বাচনী উৎসব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর নির্বাচনী উত্তেজনা। এবারের নির্বাচনে ১০৫৯ জন ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট প্রদান উপলক্ষে কোন ভোটার ভোট কক্ষে মোবাইল ফোনসহ প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নির্বাচন কমিশন পত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী মুনসুর আহমেদকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। সূত্র মতে, জেলার ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ৬৪৮ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। মামলার কারণে স্থগিত করা তিনটি কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা ছিল ২০৭। তাই এসব কেন্দ্রের ভোট চেয়ারম্যান পদের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
প্রসঙ্গত, মো. নজরুল ইসলাম ২০০৫ সাল থেকে ১৮ বছর ধরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ২০১৬ সালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
গত বারের তুলনায় এবারের ভোটের মেরুকরন বিভিন্ন কারনে যেমন ভিন্নতায় রুপ নিয়েছে অনুরুপভাবে ভোটাররাও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও মেম্বররা ভোটার। ১০৫৯ জন ভোটাররা নির্বাচন বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং প্রান্তীক পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি বিধায় তাদের হিসাব নিকাশ, ভোট প্রদান নানান কারনে ভিন্ন হতে ভিন্নতর এবং বহুবিধ মেরুকরনের শেষ পর্যায়ে ভোটের সমীকরণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম চমক দেখাতে চলেছে।

সাতজন জেলা পরিষদ সাধারন সদস্য ও তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনাও ছিল চোখে পড়ার মত। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন আদায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। সাত সাধারন সদস্য ও তিন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মোট ছত্রিশ জন প্রার্থীর মধ্যে দশ জন জয়ের হাসি হাসবেন।

সাধারন সদস্য প্রার্থীরা হলেন এক নং ওয়ার্ডের ইন্দ্রজিত দাস, সফিকুল ইসলাম ও মীর জাকির হোসেন, দুই নং ওয়ার্ডের মতিয়ার রহমান গাজী, শেখ আশিকুর রহমান ও আমজাদ হোসেন, তিন নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, আবুল আনিস খান চৌধুরী ও সৈয়দ আমিনুর রহমান, চার নং ওয়ার্ডের আল ফেরদৌস ও নজরুল ইসলাম, পাঁচ নং ওয়ার্ডের ফজলুল হক, মো: নুরুজ্জামান ও শেখ ফিরোজ কবির, ছয় নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাকিম, মহিতুর রহমান, সামছুল আলম, হাবিবুর রহমান ও তোষিকে কাইফু, সাত নং ওয়ার্ডের মোর্ত্তজা কামাল, গোলাম মোস্তফা, ডালিম কুমার ঘরামী, মল্লিক ফজলুল হক, মাকছুর রহমান ও মোহাম্মদ নুরুল হক, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে এক নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে রোকেয়া মসলেম উদ্দীন ও মাহফুজা সুলতানা, দুই নং ওয়ার্ডে তহমিনা ইসলাম, সোনিয়া পারভীন শাপলা, শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, নাজমুন্নাহার মুন্নি ও রাশিদা খাতুন। তিন নং ওয়ার্ডে রোজিনা পারভীন, শিল্পী রানী মহালদার, ফতেমা খাতুন রিক্তা ও রোকেয়া খাতুন। সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে ১০৫৯ জন ভোটারের জন্য বারটি কেন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দুইটি করে বুথ থাকবে। ভোট গ্রহন করা হবে ইভিএমএ, সকাল নয়টা হতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে। সাতক্ষীরা সদরে দুইটি কেন্দ্র, কলারোয়ায় দুইটি, কালিগঞ্জে দুইটি, আশাশুনীতে তিনটি, তালা, দেবহাটা ও শ্যামনগরে একটি করে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন হোক উৎসবের, প্রার্থীদের মধ্যে সহবস্থান আর সহমর্মিতা, আন্তরিকতা, সাতক্ষীরার জনসাধারন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই প্রত্যাশা করেন সামগ্রীক পরিবেশ বলছে শান্তিপূর্ণই হতে চলেছে কাঙ্খিত জেলা পরিষদ নির্বাচন।

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।