ইসির নিবন্ধন পেতে তোড়জোড়

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেবে নির্বাচন কমিশন। ভোটকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা নতুন দলগুলো তাই নিবন্ধন পাওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরদের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন নেওয়ার কার্যক্রমে হাত দিতে যাচ্ছে।

দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দলের নিবন্ধনের ফরম সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশনে যাবে বলে জানা গেছে।

চলতি সপ্তাহে জামায়াত ছেড়ে আসা নেতাদের হাতে গড়া এ বি পার্টির নেতারা নিবন্ধন ফরম জমা দিয়েছেন। প্রায় ৪২ হাজার পাতার কাগজপত্রসহ তারা নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছেন।

এর আগে গত আগস্টে নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিতে আবেদনের সময় বাড়ায় ইসি। তিন মাস সময় দিয়ে গত ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুরোধে পরে আবার ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করার বিধান আছে।

সবশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। তখন সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কে এম নূরুল হুদা কমিশন নানা কারণে সবার আবেদন বাতিল করেছিল।

পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে আবেদন করে ৪৩টি দল। সে সময় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট- এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়।

ওই সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাইয়ের পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি।

এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

Please follow and like us:

Check Also

কলারোয়া  উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেমের ইন্তেকালঃ বঙ্গবন্ধু বিশেষ সুপারিশে  যিনি কারা মুক্ত হন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।