নয়া দিগন্ত আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক প্রতিষ্ঠান : মির্জা ফখরুল

নয়া দিগন্ত নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক প্রতিষ্ঠান মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নয়া দিগন্ত সকল বাধা অতিক্রম করে পথ চলছে। এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা। কারণ এই পত্রিকাটিতে এ দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার কথা ফুটে উঠে। এজন্য মানুষ এটাকে ভালোবাসে। আর এখানে যারা কাজ করছেন তারা নিজেদের বিশ্বাসের প্রতি অত্যন্ত কমিটেড।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয়ে নয়া দিগন্তের দেড়যুগ পুর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আমরা অত্যন্ত একটি নষ্ট ও ভয়ঙ্কর সময় অতিক্রম করছি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা সরাসরি জড়িত ছিলাম। তখনকি আমরা যুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নেয়ার জন্য? তাদের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য? না। আমরা একটি স্বাধীন সার্বোভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সকল পত্রিকাগুলোকে বন্ধ করে দিয়ে একটি দল ১৯৭১ সালের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। আজকে আবার একইভাবে তারা স্বাধীনতার কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধার কথা বলে মানুষের অধিকারগুলোকে পুরোপুরিভাবে কেড়ে নিচ্ছে। তাই এই সময়টা আমাদের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে অতিবাহিত করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যা প্রয়োজন তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে বিচারপতি সাহেব বলেছেন আমাদের সংবিধান মেনে চলতে হবে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই কোন সংবিধান মেনে চলতে হবে? যেই সংবিধানে আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সংবিধানের তিনটি অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে কখনো পরিবর্তন করা যাবে না। যেখানে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য সর্বসম্মত হয়েছিলাম। তাই এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই আমাদের সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।

এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্ত পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওনুল ইসলাম, নয়া দিগন্তের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ, সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো: ইব্রাহীম, বিচারপতি ইকতেদার আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সহকারী শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর, নির্বাহী সম্পাদক মাসুম খলিলী, সুইস টেক-এর এমডি সাজ্জাদ হাসান মাহমুদ, ব্যারিস্টার শারমিন তাবাসসুম মাহমুদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

Please follow and like us:

Check Also

কলারোয়া  উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেমের ইন্তেকালঃ বঙ্গবন্ধু বিশেষ সুপারিশে  যিনি কারা মুক্ত হন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।