বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল:

সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন বরিশাল। বন্ধ গণপরিবহণ। চলছে থ্রি-হুইলার ধর্মঘট। বন্ধ আছে লঞ্চসহ খেয়াঘাটও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এত সব বাধা উপেক্ষা করে বরিশাল শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। আজ বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে এসব নেতাকর্মী বরিশালে এসেছেন। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মাঠে দলীয় সংগীতের পাশাপাশি জাসাস ও স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

নদীবেষ্টিত বরিশালে অধিকাংশই এসেছেন নৌপথে। শুক্রবার কয়েকশ ট্রলার, বালুবাহী জাহাজ, স্পিডবোটে শহরে আসেন। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সড়ক পথে নেতাকর্মীরা বাস, মোটরসাইকেল, তিন চাকার গাড়ি ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে শহরে আসেন। বিকালে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। রাতে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা লোকেলোকারণ্য হয়ে যায়।

আজ দুপুরে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালিত হয়। এ চার স্থানেই বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খুলনা ও রংপুরে ডাকা হয় পরিবহণ ধর্মঘট। বরিশালে আরও বড় বাধা দেওয়া হতে পারে এমনটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নেয় বিএনপি।

এদিকে বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে বরিশাল ও আশপাশের জেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকালে মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যুবলীগের কর্মসূচি থাকলেও তারা তা পালন করেনি। নগরীর বাইরে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং নগরীর কয়েকটি জায়গায় মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে সদর রোডসহ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তবে তারা সড়কে অবস্থান নেয়নি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল মূলত সদর রোডে বিবিরপুকুর পাড়ে তাদের কার্যালয়কেন্দ্রিক।

এদিকে রাত পৌনে আটটার দিকে কেডিসি ঘাট এলাকায় ছাত্রলীগ মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। ওই এলাকার খেয়াঘাটে লঞ্চ ও ট্রলারে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজার দশেক নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। বিএনপির অভিযোগ, তাদের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতেই ছাত্রলীগ মহড়া দিয়েছে। এর একটু আগে সিএন্ডবি রোড এলাকায় যুবলীগ ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার সকাল থেকে বরিশালে শুরু হয়েছে বাস ও থ্রি হুইলার ধর্মঘট। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো রকম ঘোষণা দেওয়া না হলেও বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং নৌপথে চলাচলকারী ভাড়ার স্পিডবোট। সমাবেশের একদিন আগে খেয়া পারাপারও বন্ধ করা হয়েছে বরিশালে। শুক্রবার সকালেই বরিশাল লঞ্চঘাটসংলগ্ন খেয়াঘাট, চরমোনাই, চাঁদমারীসহ সব খেয়াঘাট থেকে নৌকা ও ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট কেউ ট্রলার চলাচল বন্ধের কারণ জানাতে পারেনি। সব মিলিয়ে সকাল থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বরিশাল। পাশাপাশি বরিশালের বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হচ্ছে যানবাহনে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আমরা আমাদের নিয়মিত কাজ করছি।

মাঠেই খাওয়া মাঠেই নামাজ : বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানেই (বেলস পার্ক) পৃথক দুটি প্যান্ডেলে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। পরিবহণ ধর্মঘট ডাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা প্রখর রোদ উপেক্ষা করে মাঠের চারপাশের গাছতলা, তাঁবুর নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবমুখর পরিবেশে রান্না করে সেখানে বসে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। নেতাকর্মীদের অনেকেই পাশের কীর্তনখোলা নদীতে গোসল করেন। সবার মাঝেই দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা সঙ্গে করে রান্নার সরঞ্জাম ও বাবুর্চি নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ বাইরে থেকে অর্ডার দিয়ে খাবার তৈরি করে আনছেন। সমাবেশস্থলে শামিয়ানা টানিয়ে এবং চাদর বিছিয়ে রাতযাপন করেন তারা। রান্না, খাওয়া এবং ঘুমও চলছে মাঠেই। সমাবেশস্থল ছাড়াও নগরীর কাশিপুর, বেলতলা, সদর রোড, ব্রাউন কম্পাউন্ডসহ বিভিন্ন জায়াগায়, বাড়ির ছাদে অনেক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন।

নৌপথেই আসেন অধিকাংশ : সমাবেশে বেশিরভাগ নেতাকর্মী আসেন নৌপথে। ভোলার দৌলতখান সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মো. স্বপন সিকদার বলেন, আমি ভোলার দৌলতখান থেকে আসছি। নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছি। আসার পথে নানাভাবে বাধা পার হতে হয়েছে। আমরা স্পিডবোটে ওঠার পরে আমাদের দিকে লাঠি ছুড়ে মেরেছে। ঘাট দিয়ে নৌকা, ট্রলার, লঞ্চ কিছুই ছাড়তে দেয়নি। খুব কষ্ট করে এ পর্যন্ত আসছি।

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, আমাদের উপজেলা থেকে ৫শ নেতাকর্মী এসেছি। তাদের সবার জন্যই দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ২ দিনের রান্না করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। চাঁদমারী ট্রলার ঘাট এলাকার বাসিন্দা শাওন বলেন, কাল রাত থেকে কম করে হলেও ১০০ ট্রলারে বিএনপি নেতাকর্মীরা বরিশালে এসেছেন। লঞ্চও ভিড়েছে এখানে।

বাস ও নৌপথের পাশাপাশি শহর ও জেলায় তিন চাকার অটোরিকশা চলাচল বন্ধ আছে। আগের গণসমাবেশগুলোতে এ তিন চাকার যান ছিল নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসার একমাত্র বাহন। এবার তিন চাকার অটোরিকশা বন্ধ থাকায় যাতায়াতের কোনো মাধ্যম পাননি জনসাধারণ। বিভিন্ন কাজে যারা শহরে এসেছেন তাদের দুর্ভোগ ছিল চরমে।

এতকিছুর পরও আশপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী বরিশালে এসেছেন। পরিবহণের বাধা ঠেলে দলবেঁধে ট্রলার, নৌকা ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা।

এ ধরনের বাধা আসতে পারে এমন ধারণা আগেই ছিল। তাই বৃহস্পতিবার থেকেই সমাবেশস্থলে এসে রাত্রিযাপন করেন অনেক নেতাকর্মী। সেখানে খিচুড়ি রান্না করে তাদের খাওয়ানো হয়। চাঁদমারী খেয়াঘাটে ভাড়া করা লঞ্চে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এসেছেন ভোলা থেকে। শুক্রবার দিনভর কয়েকশ ট্রলার ও স্পিডবোটে কীর্তনখোলা ও সন্ধ্যা নদী পার হয়ে বরিশালে প্রবেশ করেন বিভিন্ন জেলার নেতারা। দিনে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে অনেক নেতাকর্মী মধ্যরাতে ট্রলারে খেয়াঘাটে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে সমাবেশে আসেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ভোলা থেকে আসে এমভি ভোলা লঞ্চ। ১৩ বাবুর্চি নিয়ে আসেন তারা। সেখানেও রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করছেন। আবুল কালাম নামের এক কর্মী বলেন, ভোলার পূর্ব ইলিশা থেকে তিনি এসেছেন। তাদের লঞ্চ ভেদোরিয়া এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্পিডবোট নিয়ে এসে গুলি চালান।

সমাবেশেকে কেন্দ্র করে নগরীর প্রবেশ পথে পুলিশের তল্লাশি চৌকি দেখা গেছে। সন্দেহভাজনদের দেহতল্লাশি করে পুলিশ। শহরে বিভিন্ন সড়কে র‌্যাব-পুলিশ টহল দিয়েছে। বিএনপি থেকে দাবি করা হয়েছে, পরিবহণ বন্ধ করে তাদের নেতাকর্মীদের আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি চালায় বলেও অভিযোগ করেন দলটির নেতারা।

বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশের দলনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল যুগান্তরকে বলেন, অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে। তবুও নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছেন। এমন স্বতঃস্ফূর্ত জনগণকে কোনো বাধাই আটকে রাখতে পারবে না।

ঢাকা থেকে পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। সেখান থেকে কয়েকবার যান পরিবর্তন করে বরিশালে আসেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মকবুল আহমেদ। তিনি বলেন, আসার পথে মধ্যরাতে ঝালকাঠির গাবখান সেতুর কাছাকাছি এলে পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে তার সঙ্গে আসা কয়েকজন আহত হন। পরে ট্রলার নিয়ে তারা বরিশাল আসেন।

নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা নথুল্লাবাদে সকাল ৯টায় গিয়ে দেখা গেল কোনো বাস ঢাকাসহ অন্য কোনো গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি, শহরেও আসেনি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে চলাচল করছে শুধু রিকশা। এর মধ্যে ভ্যানে শহরে বেশকিছু নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেখা যায়। কথা বলে জানা যায়, তারা পটুয়াখালী থেকে মাইক্রোবাসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসেন। শহরের প্রবেশপথ রূপাতলী থেকে ভ্যানে সমাবেশে যাচ্ছেন।

নগরীর মোড়ে মোড়ে বিএনপিকর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। বিশেষ করে সদর রোডসংলগ্ন পার্টি অফিসের চারদিকে মিছিল চলছে অনবরত। বিবির পুকুরপাড়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে টুপি-গেঞ্জি বিতরণ করছেন নেতারা। শুধু সদর রোড নয়, এই ধরনের জটলা বান্দ রোড, জিলা স্কুল, লঞ্চঘাটসহ ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। পিরোজপুর থেকে প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী ভেঙে ভেঙে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসেন। কর্মীরা জানান-চাল, ডাল ও ডিম নিয়ে এসেছেন তারা। রান্না করে খাবেন।

বরগুনা জেলা বিএনপি নেতারা বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে প্রথমে ট্রলারে বরগুনা সদরসহ আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলার নেতাকর্মীরা পায়রা নদীতে জড়ো হন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বরিশালের পথে রওয়ানা হন। রাতের খাবারের জন্য প্রতি ট্রলারেই খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করা হয়।

বরগুনার পায়রা নদী থেকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী হয়ে যাত্রা শুরুর ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টায় নেতাকর্মীরা বরিশাল পৌঁছান। পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বরিশালের উদ্দেশে শুক্রবার দুপুরে দিকে রওয়ানা দিয়েছেন কয়েকশ নেতাকর্মী। বাকেরগঞ্জ থেকেও ট্রলারে এসেছেন অনেকেই।

বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, ধর্মঘট শুরুর আগেই সড়কপথে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে অনেক নেতাকর্মী বরিশালে পৌঁছেছেন। যারা বাকি ছিলেন তারা ট্রলারে বরিশাল রওয়ানা হয়েছেন। ৫০টি ট্রলারে ৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মী পৌঁছেছেন শুক্রবার।

পিরোজপুরের নাজিরপুর, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি), ভাণ্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া উপজেলার ৫ হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে দুই শতাধিক ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছেড়ে এসেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইতোমধ্যে ৫ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে আরও পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মী রাতেই পৌঁছেছেন।

বরিশাল জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান বলেন, বাকেরগঞ্জের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ১৫০টি ট্রলার এসেছে। ট্রলারে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

গণসমাবেশের সফলতা নিয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না  বলেন, হাজার বাধা সত্ত্বেও শনিবারের গণসমাবেশ হবে সর্বকালের সর্ব বৃহৎ জনসভা। কোনো বাধাই নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে আটকে রাখতে পারবে না।

যুগান্তর

Please follow and like us:

Check Also

আবুল কাশেম কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি,তাই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করতেন: সাতক্ষীরায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।