মুজাহিদুল ইসলাম,  ক্রাইমবাতা রিপোট: সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ও দীর্ঘ ১৮বছর পর সাতক্ষীরা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ৩০ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবনের হলরুমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে আব্দুর বারী তরবারী প্রতিকে ৭৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: তোফাজ্জেল হোসেন প্রতিকে ছাতা ৩৬৫ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রাজ্জাক শিকদার প্রতিক বাঘ প্রতিকে ৭৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: শহিদুল ইসলাম প্রতিক আনারস প্রতিকে ৩১৫ ভোট পান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. আবুল কালাম আজাদ পত্রদূতকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরার নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। নির্বাচনে ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির ২৫টি পদে ৫০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আব্দুর বারী তরবারী প্রতিকে ৭৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: তোফাজ্জেল হোসেন ছাতা প্রতিকে ৩৬৫ ভোট পেয়েছেন।

সহ-সভাপতি পদে আসাদুল ইসলাম টিউবঅয়েলে ৬৫৪ ভোট, সিরাজুল ইসলাম খেজুর গাছে ৬৭৪ ভোট, রুহুল আমিন চেয়ারে ৬৪৭ ভোট, সামছুর রহমান হরিণে ৬৫৬ ভোট ও আব্দুস সামাদ মোরগ প্রতিকে ৬১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাজিদুল ইসলাম বাবু উড়োজাহাজে ২৮০, আলী হোসেন রাজু দোয়াত কলমে ২৬৫, মো: আব্দুল গফ্ফার মোটরসাইকেলে ৩১৬, মো: ছাইদুল ইসলাম চশমায় প্রতিকে ২৭৬ ও মো: হাফিজুর রহমান ঢালাইমেশিন প্রতিকে ৩৭৪ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রাজ্জাক শিকদার বাঘ প্রতিকে ৭৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: শহিদুল ইসলাম আনারস প্রতিকে ৩১৫ ভোট পেয়েছেন।

যুগ্ম-সম্পাদক পদে মো: ইয়ার আলী হাতি প্রতিকে ৭১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মো: দিদারুল ইসলাম দেওয়াল ঘড়ি প্রতিকে ভোট ২৭৫ ভোট, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো: তপুর আলী ঘোড়া প্রতিকে ৬৯৮ ভোট ও মো: মোসলেম সরদার উট প্রতিকে ৬৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: রজমান আলী কুড়াল প্রতিকে ২৭১ ও মো: বাবর আলী কলস প্রতিকে ২৮৮ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: আবুল কাশেম গোলাপফুল প্রতিকে ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: আব্দুল কাদের সিংহ প্রতিকে ২৯৯ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: আব্দুল মুজিদ বাবু মাছ প্রতিকে ৬৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মো: তবির হোসেন গরুর গাড়ি প্রতিকে ২৭১। কোষাধ্যক্ষ পদে আব্দুর জব্বার বাইসাইকেল প্রতিকে ৭১১ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: রুহুল কুদ্দুস ডালিমে ২৫৬। দপ্তর সম্পাদক পদে আল আমিন প্রজাপতি প্রতিকে ৬৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: আজারুল ইসলাম খোকন কর্ণিক প্রতিকে ২৮৭। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আলী জগ প্রতিকে ৬৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: হাবিবুর রহমান ফুটবল প্রতিকে ২৯৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে আবুল খায়ের মই প্রতিকে ৭১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: হোসেন আলী ডাব প্রতিকে ২৬৫ ভোট পেয়েছে।

প্রচার সম্পাদকের পদে মো: মিয়ারাজ হোসেন তালা প্রতিকে ৬৪৭ ভোটে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: শফিকুল ইসলাম হারিকেন প্রতিকে ৩০৬ ভোট। সহ-প্রচার সম্পাদকের পদে আব্দুল হামিদ বাবু কাপ পিরিচ প্রতিক ৬৮৫ ভোটে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: মিজানুর রহমান ট্রাক প্রতিকে ২৬৪।

যোগাযোগ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম টেলিভিশনে ৬৫৪ ভোটে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মো: জালাল উদ্দিন উটপাখি প্রতিকে ২৭৯। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে আহসান হাবিব সিলিংফ্যানে ৬৮৪ ভোটে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: শাহাজান আলী আম প্রতিক ২৭৪।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্যে যথাক্রমে আইয়ুব আলী টেবিল ল্যাম্প প্রতিক ৬৬৪, জাহাঙ্গীর (ইটা.) আপেলে ৬৮৭, আব্দুল্লাহ সরদার প্রাইভেটকারে ৬৫৭, আব্দুস সবুর কবুতরে ৬৬১, জাহাঙ্গীর (শাল্লে) করাত প্রতিকে ৬৮৭ ভোটে নির্বাচিত। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: কবির হোসেন খোকন মাইক প্রতিক ২৭৯, মো: রবিউল ইসলাম রিকশা ২৬৯, মো: শেখ কাদের বই প্রতিকে ২৭৩, মো: মফিজুল ইসলাম ইজিবাইকে ২৬৮ ও তপন সরকার টেলিফোনে ২৫৭ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে ১৪৪১জন ভোটারের মধ্যে ১১৮৬ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব এনছান বাহার বুলবুল ও সদস্য শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর।