বিদায় ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : মহাকালের ধারাবাহিকতায় আবারো বিদায় নিতে যাচ্ছে একটি বছর। আজ সূর্যাস্তের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে ২০২২ ইংরেজী সালের। আর রাত পোহালে ওঠবে নতুন বছরের সূর্য; যা হবে ২০২৩ইং। নানা কারণে এই বছরটি ঘটনাবহুল। রাজনৈতিক ঘাতপ্রতিঘাত থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক মন্দা আর দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মত ঘটনার ছড়াছড়ি ছিল বছরজুড়ে। দেশ বিদেশে আলোচনায় ছিল অনেক ঘটনা। এই বছরে টিকা আবিষ্কার ও দেশে দেশে সংক্রমণ কমতে থাকায় স্বাভাবিক হতে শুরু করে জীবনযাত্রা। 

২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ ২০২২ সালেই টের পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাপ ঘুরেফিরে সামনে আসে। নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন পুলিশী পাহারাতে সম্পন্ন হয় যা; নিয়ে সবার মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম নির্বাচন কমিশনের সামর্থ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় তৈরি করে।

২০২২ ইং সালের শেষ কয়েক মাসে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক তৎপরতাও ছিল আলোচিত ইস্যু। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর নাগাদ রাজধানীসহ দেশের ১০ বিভাগীয় ও বড় শহরে সম্মেলন করে বিএনপি। সরকারের পতন ঘটানোর ডাক দিয়ে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে তাদের সমাবেশে ছিল বহুল আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এই গণসমাবেশের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান ও প্রধান নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনাও ব্যাপক আলোচিত হয়।

এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে মাথায় রেখে নবেম্বরের শেষ থেকে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন শুরু করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হয় গত ২৪ ডিসেম্বর। কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। টানা দশম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। আর তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। দুই দলের নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে পরস্পরের প্রতি তিক্ততা ও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ ছিল পত্রিকাগুলোর পাতা ভরানোর অন্যতম উপাদান।

রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা অসহিষ্ণু বছর ছিল ২০২২ সাল। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসহীনতা, পরস্পরকে শত্রু মনে করার মানসিকতা সৃষ্টিতে বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

নতুন বছরে সব সংকট কেটে যাবে- এরকম প্রত্যাশা ছিল ২০২২ সালকে নিয়ে। তবে করোনার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগেই বিশ্বে নতুন অভিশাপ হিসেবে আবির্ভুত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ-আগ্রাসন-নিষেধাজ্ঞার প্রভাব, জ্বালানি সংকট, নিত্যপণ্যের উ”চমূল্য, বেকারত্বসহ অর্থনৈতিক মন্দা নেমে আসে বিশ্বজুড়ে। বছর শেষ হওয়ার আগেই আবারও করোনা ফিরতে শুরু করে চীন-ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনও ইঙ্গিতই যেখানে নেই, তার মধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে।

বিদায়ী বছরে করোনার মৃত্যুহার কমে এসেছিল অনেক দেশে। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয় প্রায় বিশ্বজুড়ে। এবারই প্রথম কোনও আরব রাষ্ট্রে বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো বিশাল আয়োজন হয়।

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকট-অস্থিরতা যেমন ছিল, জাতিগত বেশকিছু অর্জনও ছিল এই বছর। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো বড় অবকাঠামো উদ্বোধন করা হয়েছে এবং জনসাধোরণে চলাচলের জন্য খুলেও দেওয়া হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ক্রীড়াক্ষেত্রে মেয়েদের সাফ ফুটবল জয় দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, ঋণ খেলাপি, টাকা পাচার, নতুন জঙ্গী সংগঠনের খোঁজ, রাজনৈতিক হিংসা-বিদ্বেষ নিয়ে জনসাধারণকে অস্থিরতার মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে দেশের মানুষকে।

বছরের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা ও ডলার সংকট। ২০২১ এর নভেম্বরে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালের নভেম্বরে তা ৩৪ বিলিয়নে নেমে আসে। বিভিন্ন ব্যাংক ও খোলা বাজারে চাহিদার তুলনায় ডলার কম।

বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারিও ছিল আগ্রহের ও আতঙ্কের বিষয়। ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯ হাজার কোটিরও বেশি টাকা তুলে নেয়া হয়। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই লোপাট হয় সাত হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সেপ্টেম্বরে জানায়, ব্যাংক খাতে এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির আড়ালে মোটা অংকের অর্থ পাচার হচ্ছে বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে। ব্যাংকে টাকা থাকবে না- এই আতঙ্কে সাধারণ মানুষ টাকা তুলে ঘরে রাখতে শুরু করে বলেও খবর প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে এবছর। গত আগস্টে বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের বেশি হারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে। একবারে এতো বেশি মূল্যবৃদ্ধি এর আগে আর কখনও হয়নি। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ শতাংশ বেড়ে লিটার প্রতি হয় ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক বেড়ে লিটার ১৩০ টাকা, অকটেনের দাম ৫১ শতাংশ বেড়ে লিটার প্রতি দাম ১৩৫ টাকা হয়। বাস, ট্রাক, লঞ্চসহ সব ধরনের পরিবহনের ভাড়া বাড়ে। প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও তেল-গ্যাসসহ বিদ্যুৎ তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে ক্রমাগত লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হয়। সরকার শিডিউল করে সারাদেশে লোডশেডিং দেয়। জুন থেকে শুরু হয়ে নভেম্বর নাগাদ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসবের মধ্যে ভোজ্যতেলের দামবৃদ্ধি, চাল-চিনি-গমের দাম সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি, প্রায় সব ধরনের পণ্যের মূল্যস্ফীতির বিষয়গুলোও ছিল আলোচিত।

করোনার কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর এবছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সব মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। প্রাথমিক স্তরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয় মার্চ থেকে।

গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরও বেশ আলোচিত ঘটনা ছিল। সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এক মন্তব্য এবং এর পরপরই সফর থেকে তার বাদ পড়ার ঘটনাও ছিল আলোচিত। প্রধানমন্ত্রীর সফরের তিন সপ্তাহ আগে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে’। তার এই কথায় বিব্রত হয় সরকার। ওই সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেন।

জাতিগত অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল জাতীয় নারী ফুটবল টিমের প্রথমবারের মতো সাফ উইম্যান্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ জয়। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে পুরো দেশকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেয় মেয়েরা। ঘুর্ণিঝড় অশনী ও সিত্রাং, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন বেশকিছু কর্মকর্তার বাধ্যতামূলত অবসর, জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, চট্টগ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন।

২০২২ সালে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বাঁক দেখা গেছে। বছরজুড়ে ঘটেছে বড় রাজনৈতিক ঘটনা, যা বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নতুন রূপ দিয়েছে। এছাড়া বিদায়ী বছর দাগ কেটেছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, ইরানের বিক্ষোভ, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব, বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, ব্রিটেন, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক উত্থান পতনের নানান ঘটনা। বছরটির শেষ প্রান্তে প্রধান বৈশ্বিক ঘটনাগুলোর দিকে ফিরে তাকানো যাক।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির এক পর্যায়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এতে উভয় পক্ষের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট।

সবচেয়ে বেশি সময় রাজত্বকারী ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামলে যুদ্ধোত্তর মন্দা, সাম্রাজ্য ভেঙে কমনওয়েলথে উত্তরণ, স্নায়ুযুদ্ধের অবসান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্তি এবং বের হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে। তিনি সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পর ৯৬ বছর বয়সে মারা যান, যা তাকে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম রাজত্বকারী শাসক করে তোলে। রানির মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র তৃতীয় চার্লস ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হন।

আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব এশিয়ায় সফরসূচিতে তালিকাভুক্ত না থাকা সত্ত্বেও অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগস্টে তাইওয়ানে পৌঁছেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং তার প্রতিনিধিদল। এ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানে একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা পাঠানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করে। দ্বীপটিকে নিজের প্রদেশ বলে মনে করে চীন।

এই বছর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শাসকরা। সরকারবিরোধী প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। কারণ ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তার চুল সঠিকভাবে না ঢেকে রাখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে তিনি মারা যান। তার মৃত্যু এবং নারীদের প্রতি ইরানের দুঃশাসনের নিন্দা জানাতে জড়ো হয় শত শত মানুষ। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জাতিগত সব শ্রেণির ইরানিরা একত্রিত হওয়ায় বিক্ষোভ দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জুনে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশের বেশি এবং অক্টোবরে যুক্তরাজ্যে তা ছিল ১১ দশমিক ১ শতাংশ। এর ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

এ বছরের এপ্রিলে পাকিস্তান পার্লামেন্টে অনাস্থ ভোটে হেরে ক্ষমতা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এতে দেশটিতে কোনো প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ইমরান খান অবশ্য ক্ষমতা হারিয়ে চুপ থাকেননি। তিনি উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইসলামাবাদে ধারাবাহিক প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। আগস্টে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে সরকার। নভেম্বরে তাকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং তিনি আহত হন। এ হামলার জন্য শরীফ ও জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের দায়ী করেন এবং দেশে আগাম নির্বাচনের দাবি জানান ইমরান খান। পাকিস্তানে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় ১ হাজার ৩৯১ জনের বেশি নিহত হয়েছে এবং আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় বাড়িঘর, ফসল এবং বিভিন্ন অবকাঠামো ভেসে গেছে।

বেশ কয়েক বছরের অব্যবস্থপনা, দুর্নীতি, অদূরদর্শী নীতিনির্ধারণ ও সুশাসনের সামগ্রিক অভাবের কারণে এ বছর নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়, যা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছিল। খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র ঘাটতি সৃষ্টি হলে প্রতিবাদকারীরা গোতাবায়ার সরকারি বাসভবনে হামলা চালালে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।