পালিয়ে যাওয়া সোহেল রানাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নেপাল চম্পট দেয়ার সময় কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিলেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা। তারপর দীর্ঘদিন কারাবাসের পর তিনি জামিন পান সপ্তাহে একবার সশরীরে মেখলিগঞ্জ থানায় হাজিরা দেয়ার শর্তে। ৮ই ডিসেম্বর তিনি জামিন পান। কিন্তু, মেখলিগঞ্জ থানায় তিনি হাজিরা দিচ্ছেন না। উল্টো একটি ই-মেইল পাঠিয়েছেন কোচবিহার হাসপাতালের সার্টিফিকেট দিয়ে যে, তিনি অসুস্থ। তাকে যেন হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কোর্ট এই ব্যাপারে কোনও রায় ঘোষণা করার আগেই লাপাত্তা হয়ে যান সোহেল রানা।এবার মেখলিগঞ্জ আদালত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, সোহেল রানাকে খুঁজে বের করার। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ম্যান হান্টও শুরু করেছে এই ব্যাপারে। কিন্তু, কাজটা কঠিন। ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দিদি সোনিয়া মেহেজবিন ও ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান এর মাধ্যমে এক হাজার একশ কোটি টাকা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে লুটে নেয় সোহেল।

ভারত দিয়ে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার সময় চ্যাংড়াবান্ধায় গ্রেপ্তার হন সোহেল। তিনি যখন মেখলিগঞ্জের জেলে তখনই মোহাম্মদ বাহারুল নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তাকে কিছু বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করে তার বাংলাদেশি সহযোগীরা। বাহারুল আটক হয় শিলিগুড়ির হোটেল থেকে।
সোহেল রানার ভারতীয় কন্টাক্ট যে জোরদার এটা তারই প্রমাণ। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সোহেল রানার খোঁজে হন্যে পুলিশ।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।