অগ্রগতি অবকাঠামগত উন্নয়ন আর সাফল্যের সমন্বয়ে ভোমরা আর্থসামাজিক খাতে দখল করেছে মর্যাদাপূর্ণ স্থান। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে এ বন্দরটি। এ অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় বাড়ছে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি। কিন্তুু মাঝপথে ডলার সংকট আর বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ধ্বস নামে আমদানি বাণিজ্যে। উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভোমরা বন্দরে ১হাজার ৯ কোটি ৪৩লক্ষ টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। নানা জটিলতার মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শুরুর প্রথম জুলাই মাসে রাজস্ব অর্জিত হয় ৮৬ কোটি ৭০ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং আগস্ট মাসে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৮ টাকা রাজস্ব আহরিত হয়। চলতি অর্থবছরের দুমাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বন্দর থেকে ১৭৯ কোটি ৯১ লাখ ৪৭ হাজার ৫১ টাকা রাজস্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়। ভোমরা কাস্টমস এন্ট্রি শাখা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমদানি-বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে অধিক রাজস্ব আহরণে ব্রতী হয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তৈরি হয়েছে বাণিজ্য বান্ধব পরিবেশ। নানাবিধ জটিলতার কারণে আমদানি বাণিজ্য কিছুটা কমলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় বেড়েছে রাজস্ব উপার্জন। পূর্বে এ বন্দরে ভারত থেকে প্রবেশ করত ৩০০ থেকে ৪০০আমদানিযোগ্য পণ্যবাহী ট্রাক। বর্তমানে সেখানে প্রবেশ করছে ১শ’ থেকে ১২০ পণ্যবাহী ট্রাক। ফলে আমদানি কমায় রাজস্ব অর্জনও কমে যায়। ভোমরা শ্রমিক সংগঠনের একাধিক শ্রমিকরা বলছে, আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা। বন্দরের চারটি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। যাদের নুন আনতে পানতা ফুরায় তারাই পড়েছে মহাবিপাকে। শ্রমিকরা বলছে, আমদানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলে আমাদের কাজের গতি ও বেড়ে যায়। আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে আসে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। কিন্তুু বর্তমানে আমরা কাজের অভাবে সংসার নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছি।
