সম্প্রতি সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ শিকারী চক্রের তৎপরতা। বেড়েছে দস্যুদের উৎপাতও। জেলে অপহরণ ও হরিণ শিকারের কয়েকটি ঘটনা নজরে এসেছে মাত্র। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে বনবিভাগ।
সূত্র জানাচ্ছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন ও সিপিজি সদস্যদের অভিযানে প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান হতে উঠানো হচ্ছে শিকারীদের পাতা ফাঁদ। ৩১ জানুয়ারি সকালে সুন্দরবনের বড় কেয়াখালী খালের তেরকাটি ভারানি হতে ২১৫পিস ফাঁদের দড়ি উদ্ধার করেছে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ও সিপিজির সদস্যরা। এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বনবিভাগের সদস্য ও সিপিজির সদস্যদের নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করি। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার ভোররাত থেকে অভিযান চালিয়ে ২১৫টি ফাঁদের দড়ি উদ্ধার করেছি এবং ওই স্থানে হরিণ শিকার করার জন্য যে ঘেরা দেওয়া ছিল সেটি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে হরিণ শিকার করা ফাঁদ উদ্ধারের বিষয় সিপিজির সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে সিপিজির সদস্যরা বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে খবর আসে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে হরিণ শিকারীরা ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছেন। আমরা ও বনবিভাগের সদস্য মিলে রাত-দিন পাহারা বসিয়ে হরিণের মাংস ও ফাঁদের দড়ি উদ্ধার করেই যাচ্ছি।
